সকল মেনু

বিশ্বকাপ যুদ্ধ এখন মাঠের গন্ডি পেরিয়ে ফেসবুকে

দিলীপ গৌর: আর মাত্র ২দিন পর পর্দা উঠবে খেলার জগতে সবচেয়ে আলোচিত আসর ফুটবল বিশ্ব কাপের। ইতিমধ্যে বিশ্বের সেরা  খেলোয়ার,মেসি,রোনালদো,রবেন,ক্লোসা,ওজিল,দ্রগবা,সুয়ারেজ,রুনী পৌছে গেছে সাম্বানৃত্য আর কিংবদন্তী প্লেলের দেশ ব্রাজিলে। ৩২ দেশের টানটান উত্তেজনা মুলক ফুটবল যুদ্ধ মাঠে গড়াবে ১২ জুন। কিন্তু ফুটবল প্রেমীদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে আরো আনেক আগে থেকে। বিশ্বের এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষেরই এখন রয়েছে ফেসবুক একাউন্ট। বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম এটি বেশী ব্যবহার করে। এদেশে ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা হলেও ফুটবল বিশ্বকাপে উন্মাদনা লক্ষ করা যায় বেশী। আর যে কারনে এখন ফেসবুক খুললেই দেখা যাচ্ছে প্রিয় দল,প্রিয় খেলোয়ারদের পতাকা,ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ছবি এবং মনকড়া স্ট্যাটাস। এই যুদ্ধ যেন মাঠের যুদ্ধের কোন অংশ কম নয়। এই যুদ্ধে মুলত অংশ গ্রহন করছে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের সমর্থকরা। আর ছবি দেয়া হচ্ছে মেসি এবং নেইমারের। চলছে এই দুজনের নানান রং এর ছবি নিয়ে ফটো কমেন্টস,পতাকা আইন ভেঙ্গে এই দুই দেশের পতাকা নিয়ে ইচ্ছে মতো ডিজাইন করে উপস্থাপন করা। কে কার দলকে নিয়ে বেশী বেশী উপস্থাপনের মাধ্যমে অন্যকে ঘায়েল করতে পারছে এটা নিয়েই যেন তাদের তৃপ্তি। ভক্তদের এই ধরনের উন্মাদনায় বালির পাঠা হচ্ছে মেস,নেইমাররা। তবে ফুটবল ইতিহাস  থেকে যা আসে তা হলো এই পর্যন্ত হয়ে যাওয়া ১৯টি বিশ্ব কাপে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৫ বার পক্ষান্তরে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২বার। তবে দু’দলই দু”বার করে রানার্স আপ হয়েছে। অংক যাই হোকনা কেন তরপরেও এই দু’দলের ফুটবল ভক্তদের মনোবল যার যার দলের ক্ষেত্রে অনেকটা শক্ত। এর পেছনে কিছু কারনও আছে। একসময়ে আর্জেন্টিনা দলে খেলতো যাদুকরি ফুটবল তারকা ম্যারাডোনা মুলত ম্যারাডোনার জন্যই এই দলের সমর্থক এতো। পরবর্তীতে ম্যারাডোনা খেলা থেকে অবসর নিলে বাতিসতুতা,তেভেজ এর মতো দর্শক নন্দিত খেলোয়াররা নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে কালজয়ী এই দলের হালধরেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। মেসির জনপ্রিয়তার কারনেই তরুন প্রজন্ম যেমন বার্সেলোনা কে সমর্থন করে ঠিক তেমনি আর্জেন্টিনার সমর্থন করেন। অন্যদিকে ফুটবলের কিংবদন্তি কালো মানিক প্লের দল ব্রাজিল। পরবর্তীতে এই দলের আরো এক ঝাক তরুন ফুটবালার তাদের ক্রীড়া নৈপুর্ন প্রদর্শন করে দলকে জনপ্রিয় করে তুলেন তাদের মধ্যে,রোনালদো,রিভালদো, কাকা অন্যতম। এই সময়ের তরুন প্রজন্মের আরেক এক জনপ্রিয় ফুটবলার  নেইমার এবার হাল ধরেছেন স্বাগতিক ব্রাজিলের। যার কারনে অনেক তরুনরাও হয়েছেন ব্রাজিলের সমর্থক। আর যে কারনে মাঠের যুদ্ধের চেয়ে ফেসবুক যুদ্ধ জমেছে অনেক বেশী। মাঠে খেলবে প্রতি দলের ১১ জন করে দু’দলের ২২ জন খেলোয়ার কিন্তু ফেসবুকের এই যুদ্ধে উভায় দলের শত শত খেলোয়ার অংশ গ্রহন করছে। তাই বলবো যারা এখন ফেসবুক ফুটবল যুদ্ধ দেখেন নাই তারা অবশ্যই একটু সময়ের জন্য হলেও ফেসবুকে প্রবেশ করে এই যুদ্ধটা দেখবেন। ইন্টারনেটের এই যুগে ঘড়ে বসেই কিভাবে দেশ বিদেশের বন্ধুদের মধ্যে সাইবার যুদ্ধ চলছে তা না দেখলেই অনেকটা অতৃপ্তি থেকে যাবে। যত দিন গড়াবে এই সাইবার যুদ্ধ আরো বাড়তে থাকবে। তবে যাই হোক না কেন এক বিষয়ে দু’দলের মতামত কিন্তু এক আর তা হলো ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালটা  যেন আর্জেন্টিনা – ব্রাজিলের মধ্যে হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top