সকল মেনু

আজ তারাকান্দর গণহত্যা দিবস

 গৌরাঙ্গ লাল দাস,কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিআজ রবিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাকান্দর গণহত্যা দিবস।১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষরা তারাকান্দর গ্রামেরনিরহ মানুষদের উপর বর্বরাচিত হামলা চালিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক দেশপ্রেমিক মানুষকে হত্যা করে। দিবসটি উদযাপনে স্থানীয় জনগন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কিংবা প্রশাসন কেউই উদ্যোগ নেয়নি । শুধু স্বজন হারা মানুষ গুলো চোখের পানি ফেলে নিহতদেরকে স্মরন করলেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন সময়ের তারাকান্দর গ্রামের কত মানুষ হানাদার বাহিনী ও তাদের দোষরদের হাতে নিহত হয়েছেন তার কোন তথ্য নেই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে।

স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বুলু বলেন, ১৯৭১ সালে তারাকান্দর গ্রাম থেকেই পাক হানাদার ও তাদের দোষরদের সাথে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। কোটালীপাড়ার সবচেয়ে বড় গণহত্যা হয়েছিল এ গ্রামে। অথচ সেই দিন কত লোক নিহত হয়েছিল তার কোন হিসাব নেই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে। এটা আমাদের জন্য অতান্ত দুঃখের। স্থানীয় ইউপি সদস্য মেন্টর বিশ্বাস বলেন, রাজাকারদের হাতে নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে বেঁচে যাওয়া যোদ্ধা জগদীশ বৈদ্য মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখনও স্বীকৃতি পাননি। এমনকি  পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে জীবনের নিরাপত্তার জন্যে তিনি আশ্রয় নেন যশোরের বসুন্দিয়ায়। এখন তিনি সেখানে সরকারী রাস্তার পাশে একটি কুঁড়েঘরে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জগদীশ বৈদ্যের মতো অনেক মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘ ৪৩ বছরেওমুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি।মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৪৩ বছর ধরে যারা আমাদের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাদের উচিত ছিল সেই দিন কত জন লোক নিহত হয়েছেন তাদের একটি তালিকা তৈরী করা। কিন্তু তারা করতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা। আগামী ৪ জুনের নির্বাচনে আমি জযী হলে নিহতদের তালিকা ও তারাকান্দর গ্রামে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান করবো। নিহতদের স্মরনে এলাকায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মানের দাবী জানিয়েছেনলেখক,সাংবাদিক প্রশান্ত অধিকারী। তিনি বলেন-নিহতদের শহীদের মর্যাদা ও যে সকল পরিবারের সদস্যরা সেই দিন নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারে যারাবেঁচে আছে তাদের ভাতার ব্যবস্থা করা উচিত। আর এ জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাকমান্ড কাউন্সিলকে এগিয়ে আসতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন,আমি তারাকান্দর গ্রামে শহীদের স্মরনে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান করে দিবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top