সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: রাজশাহী বিভাগীয় তৃতীয় দিনের পরিবহন ধর্মঘটের কারনে একদিকে যাত্রীরা পড়েছে দুর্ভোগে অন্য দিকে লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসানে পড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ। বিকল্প পরিবহন হিসেবে বেড়েছে মটর সাইকেলের কদর। সিরাজগঞ্জ উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হবার কারনে প্রতিদিন রাজশাহী ,রংপুর বিভাগের ১৬ জেলাসহ দক্ষিন অঞ্চলের ৮ জেলার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে চলাচল করে। ধর্মঘটের কারনে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপারের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।রাজশাহী বাস ট্রাক মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট চলছে তৃতীয় দিনেরমত। পরিবহন না কায় দুর্ভোগে পরা যাত্রীরা বিকল্প পরিবহন হিসেবে বেছে নিয়েছে মটরসাইকেলকে। ভারা তুলনামুলক অনেক বেশী হলেও গন্তব্য পৌছানোর জন্য যাত্রীরা ঝুকি নিয়ে মটর সাইকেলে চরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপার এবং পশ্চিম পারে যাতায়াত করছে। ফলে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে যেখানে সবসবময় বাস থাকে সেখানে গড়েউঠেছে অস্থায়ী মটরসাইকেল টার্মিনাল। এখানে ভাড়া হিসেবে ১শ থেকে শুরু করে ১শ৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। কাদের নামে এক মটর সাইকেল যাত্রী জানান যে তার বাবা মারা গেছে কিন্তু ধর্মঘটের কারনে গাড়ী না থাকায় অতিরিক্তভাড়া দিয়ে তারা সেতু ওপারে যাচ্ছে ওখান থেকে গাড়ী পাওয়া যাবে কিনা তার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না তিনি। এদিকে একমটরসাইকেলের চালক জানান দুর্ভোগে পড়া যাত্রীদের মটর সাইকেলে পারাপারের মাধ্যমে তাদের সহযোগীতা করার পাশাপাশি হচ্ছে বাড়তি আয়। করছি ভাড়া বেশী নেবার ব্যাপারে তিনি জানান সেতুর টোল দিতে হয় ৪০ টাকা এর পরে তেল লাগে ৫০ থেকে ৬০ টাকার সে নুযায়ী আমরা ভাড়া নিচ্ছি অনেক কম। তারা আরো জানান যাত্রীদের সুবিধার জন্য আমরা চন্দ্রা পর্যন্ত এদিকে শেরপুর বগুড়া পর্যন্ত যাচ্ছিবঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে স্বাভাবিক দিনে সেতু দিয়ে গড়ে ১০ থেকে ১১ হাজার পরিবহন যাতায়াত করে যা থেকে রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১ কোটি টাকা। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারনে এখনদিনে ৪ থেকে ৫ হাজার পরিবহন যাতায়াত করছে ফলে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।