সকল মেনু

ফেলনা নয় পুরোনো স্মার্টফোন

 শানজানা জামান : নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে সবারই আগ্রহ থাকে নতুন স্মার্টফোন ব্যবহারের। নতুন স্মার্টফোন হাতে পেয়ে অনেকেই বিক্রি করে দেন পুরোনো স্মার্টফোনটি। তবে পুরোনো স্মার্টফোনটি বিক্রি না করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। বাসা, অফিস কিংবা রাস্তায় এটি নানা কাজে আসতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে পুরোনো স্মার্টফোনের নানা ব্যবহার তুলে ধরা হয়েছে।

ওয়্যারলেস রাউটার : পুরনো স্মার্টফোনের বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই হটস্পট ফিচারটির ব্যবহার করে ফোনটিকে পকেট রাউটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে থ্রিজি সিম এবং মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট প্যাকেজের সাহায্যে স্মার্টফোনটিতে ওয়াই-ফাই জোন তৈরি করে নিতে পারেন। এর ফলে পুরোনো স্মার্টফোনটি থেকেই আপনার অন্যান্য ডিভাইসে যেমন: ল্যাপটপ, ট্যাবলেট বা অন্য ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এজন্য আপনার অন্যান্য ডিভাইসে আর আলাদা ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন পড়বে না।

টিভির জন্য মিডিয়া প্লেয়ার : আপনার স্মার্টফোনে যদি টিভি-আউট ফাংশন থাকে (এমএইচএল বা এইচডিএমআই আউট) তাহলে ফোনটিকে টিভির জন্য মিডিয়া প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইলটিকে টিভির সঙ্গে সংযুক্ত করে বড় পর্দায় মুভি বা ভিডিও দেখার কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। ৩২ জিবি বা ৬৪ জিবি মেমোরি কার্ডে নিত্য নতুন বিভিন্ন মুভি বা ভিডিও লোড করে তা বড় পর্দায় দেখার জন্য স্মার্টফোনটির সঙ্গে টিভির সংযোগ দিন এমএইচএল বা এইচডিএমআই ক্যাবলের মাধ্যমে।

বিভিন্ন অ্যাপস পরীক্ষা : স্মার্টফোনের জন্য একই ক্যাটেগরির নানা অ্যাপস রয়েছে। এর মধ্যে আসলেই কোনটা প্রয়োজনীয় তা আপনার নতুন স্মার্টফোনে ইনস্টল করার আগে পুরোনো স্মার্টফোনটিকে বিভিন্ন অ্যাপস পরীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।

ওয়্যারলেস সিকিউরিটি ক্যামেরা : বর্তমানে বিনামূল্যের অনেক অ্যাপস রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনার ফোনের ক্যামেরাকে ওয়্যারলেস সিকিউরিটি ক্যামেরায় রূপান্তর করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনার বাসায় কিংবা অন্যান্য জায়গায় নিয়মিত নজর রাখতে পারবেন। যে কোনো ব্রাউজার কিংবা ভিডিও প্লেয়ার থেকে অনলাইন স্ট্রিমিং করে সহজেই দেখে নিতে পারবেন আপনার কাঙ্খিত স্থানের ছবি। পুরোনো ফোনের ক্যামেরাটিকে ওয়্যারলেস সিকিউরিটি ক্যামেরায় রূপান্তর করতে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য আইপি  ওয়েবক্যাম এবং আইওএসের জন্য আইভিজিলো স্মার্টক্যাম অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন।
গেমিং ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার : আপনি যদি গেমভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে গেম খেলার কাজে ব্যবহার করতে পারেন আপনার পুরোনো স্মার্টফোন। বিশেষ করে পুরোনো অনেক গেম রয়েছে যেগুলো আমাদের আধুনিক স্মার্টফোনে খেলার জন্য ইমুলেটর ব্যবহার করতে হয়। চাইলে আপনি ইমুলেটর সফটওয়্যার ব্যবহার না করে সে সকল গেম খেলতে পারেন।

জিপিএস নেভিগেটর : অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল ম্যাপস এবং নেভিগেশন ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। ফলে কোথাও ভ্রমণের সময় আপনার গাড়ির জন্য আর আলাদা করে স্ট্যান্ডএ্যালোন জিপিএস নেভিগেটর কেনার প্রয়োজন নেই। বরঞ্চ আপনার পুরোনো ফোনের জিপিএস ব্যবহার করে আপনার ফোনটিকে বানিয়ে ফেলতে পারেন একটি জিপিএস নেভিগেটর। চাইলে জিপিএস নেভিগেটর হিসেবে গাড়িতে স্থায়ীভাবে স্মার্টফোনটি সেট করে নিতে পারেন। এ জন্য জেনেরিক মাইক্রো ইউএসবি ১২ ভোল্ট কার চার্জার দরকার হবে যা মোবাইল ফোনটিকে চার্জ দিতে কাজে লাগবে। কার ড্যাশবোর্ড নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করে নিলে এবং প্রয়োজনমতো কাস্টমাইজ করে নিলে পুরোনো স্মার্টফোনটিকে কার নেভিগেটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

কম্পিউটার রিমোট হিসেবে ব্যবহার : বর্তমানে অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে স্মার্টফোন থেকেই আপনার কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সোফা বা দূরে চেয়ারে বসে কম্পিউটার চালনায় পুরোনো স্মার্টফোনটিকে কন্ট্রোলার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে মোবাইল মাউস লাইট ও সার্ভার সফটওয়্যারটি কাজে আসবে। মোবাইল ফোনটিকে পিসি রিমোট হিসেবে ব্যবহার করতে মোবাইল ও পিসি একই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে থাকতে হবে। মোবাইল মাউস অ্যাপটির মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনটি দিয়েই মাউস, কিবোর্ড কিংবা ইউনিভার্সাল রিমোটের কাজ চালানো যাবে। আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য লজিটেকের টাচ মাউস অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top