ডাঃ জি এম  ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নদী তীরবর্তী গণমানুষের চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাসমান এ্যামিরেটস্ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালটি।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান এ্যামিরেটস্ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল। ২০১০সাল থেকে অদ্যাবধি শুধু নদী তীরবর্তি নয়, পার্শ্ববর্তী উপজেলাসমুহ এবং চরাঞ্চলের রোগীরা মাত্র ৫-১০ টাকার বিনিময়ে ঔষধসহ চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। কাক ডাকা ভোরে হাসপাতালের সামনে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বিভিন্ন বয়সী শত শত রোগীকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ভোর থেকে শুরু হয় রোগীদের পদচারণা। আর রোগীদের পদচারণায় ঘুম ভাঙ্গে ঐ এলাকার মানুষের। নদীর নব্যতার উপর ভিত্তি করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানান্তরিত হয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে চিলমারী উপজেলায় ৯টি চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে ৭‘শ ৮২জন রোগীকে চোখের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। প্লাষ্টিক সার্জারী করা হয়েছে ৩২ জন এবং মাইনর সার্জারী হয়েছে ১‘শ ৪ জনের। দাঁতের চিকিৎসা নিয়েছেন ১‘শ ৩৬জন এবং ২৫জন মহিলা গাইনী চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন। গত ১ বছরে ৭ হাজার ৮‘শ ৮০জন শিশু, ২১ হাজার ৯‘শ ২৭জন মহিলা, ১৫ হাজার ২‘শ ৩১জন পুরুষ মিলে মোট ৪৫ হাজার ৩৮জন রোগী নিয়মিত চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন। এছাড়াও ১ হাজার ৭৯জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। সবমিলে এ্যামিরেটস্ ফ্রেন্ডশীপ ভাসমান হাসপাতাল থেকে ৪৬ হাজার ১‘শ ১৭জন রোগী চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি হচ্ছে। ফ্রেন্ডশীপের সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ শফিয়ার রহমান জানান, ভাসমান হাসপাতালটিতে ৪জন মেডিকেল অফিসার সার্বক্ষণিক চিকিৎসাকাজে নিয়োজিত আছেন। এছাড়াও নার্স, টেকনিশিয়ানসহ ২৬জন স্টাফ কর্মরত রয়েছেন। এপ্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম জানান, গরীব মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। এজন্য আমরা ফ্রেন্ডশীপের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, ফ্রেন্ডশীপ ভাসমান হাসপাতালটি চিলমারীতে থাকায় এখানকার মানুষ ব্যাপকভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে। তিনি চিলমারী উপজেলায় একটি স্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।