সকল মেনু

অপহরনের দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি ফরিদপুরে মেধাবী শিক্ষার্থী মিষ্টি

লিটু সিকদার, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কা মারগ্রাম থেকে অপহৃত মেধাবী কলেজ ছাত্রী সাবিহা রহমান মিষ্টিকে (১৭) অপহরণের দুই দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বোয়ালমারী পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপহৃত মিষ্টি স্থানীয় কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের ছাত্রী ছিলো । 
মেয়েকে হারিয়ে দুই দিন নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন মিষ্টির পরিবার। মেয়েকে উদ্ধারে প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের কাছে হাতে পায়ে ধরে বেড়াচ্ছেন মেয়ে উদ্ধারের জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা মিনহাযুর রহমান লিপন বলেন, লিখন অত্যন্ত বখাটে ওর ভরে গ্রামের মেয়েরা সন্ধ্যার পরে ঘর থেকে বের হতে পারতো না। একটি মেধাবী শিক্ষার্থী জীবন নষ্ট করে দেওয়ার জন্য ওই বখাটে এমন কান্ড ঘটিয়েছে। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের মাতুব্বরা বিষয়টিকে অর্থের বিনিময়ে প্রেম ঘটিত বিষয় বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে জানায় এলাকাবাসী।
মিষ্টির বাবা বোয়ালমারী উপজেলা বিএডিসির প্রকৌশলী মো. হাবিবু

র রহমান বলেন, আমার মেয়ে অত্যন্ত মেধাবী ওর জীবনটা বাচাঁন। তিনি বলেন, মিষ্টি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেনীতে ট্যালেন্ডফুলে বৃত্তি পায়, সে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে ছিলো।দুই দিন পার হয়ে গেলেও এখনও আমি আমার মেয়ের কোন খবর পায়নি। 

অপহৃতের মা শেফালী বেগম বলেন, মেয়েকে কলেজের সামনে থেকে ছাত্রলীগের নেতা আশরাফুর রহমান লিখন জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। শুধু আমার মেয়ে নয় গ্রামের মেয়েরা এতদিন লিখনের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারতো না। আমি আমার মেয়ে ফেরত চাই লিখনেরও বিচার চাই। তিনি বলে ৬মে লিখন মিষ্টিকে তুলে নিতে চেষ্টা করেছিল । বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানালে সে (লিখন) আরো ক্ষিপ্ত হয়।
এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে অপহরণের বিষয়টি প্রেম বলে ধামাচাপা দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা বখাটে লিখনকে বাচাতে ওঠে পড়ে লেগেলে বোয়ালমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের

সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মৃধা মিলন। 

এ বিষয়ে মিলন মৃধা বলেন, অপহরণকারী লিখন আমার দলের কর্মী সমর্থক। যদি তারা প্রেম করে ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে আদলতে আত্মসমর্পন করার জন্য মোবইলে বলেছি। তবে অণ্যায় ভাবে তুলে নিয়ে গেলে তার শাস্তি হবে।
রোববার সকালে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার কম্পিউটার বিষয়ে অংশ নিতে মা’ এর সাথে কলেজে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ নেতা লিখন অপহরণ করে মেধাবী শিক্ষার্থী মিষ্টিকে।
ওই দিনই মিষ্টির মা বাদী হয়ে লিখন ঠাকুর, বাবা তরুন ঠাকুর, লিখনের মা, বড় ভাই ও এক বন্ধুর নামে থানায় মামালা করেছে। তবে মামলা থেকে লিখনের বন্ধু ও ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা তমাল ও মনির নামে দুই জনের নাম বাদ দিয়েছে ওসি এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, মিষ্টির অপহরণ হওয়ার খবর মৌখিক ভাবে পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ অভিযান শুরু করে। থানায় এঘটনায় মামলাও হয়েছে। এরই মধ্যে অপহরণকারী বাবাকে আটক করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুক মিষ্টিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।###

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top