সকল মেনু

আটক আড়াই কোটি টাকার চোরাই পেট্রোল পুলিশের কাছ থেকে গায়েব !

 ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হওয়া আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৭০ হাজার লিটার চোরাই পেট্রোলসহ একটি অয়েল ট্যাংকার ও ২টি তেলবাহী লরী পুলিশ হেফাজত থেকে গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার এসব চোরাই পেট্রোল আটকের পর কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে গনমাধ্যমে এই ঘটনার স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজসহ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়। তবে শনিবার বিষয়টি অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে ভিন্ন চিত্র। কোস্ট গার্ডের কাছ থেকে বুঝে নেয়া আটক হওয়া ওই মালামাল পুলিশ হেফাজতে নেই। এ যেন জাদুশিল্পী পিসি সরকার আর জুয়েল আইচকেও হার মানানো ব্যাপার। এদিকে বিশাল অংকের লেনদেনে আটক হওয়া মালামাল পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে।
ওটি মিয়া জমিরশাহ-২ ভোলা খালের পাঙ্গাসিয়া বাজার ঘাট থেকে বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ডের উপ-পরিচালক (গোয়েন্দা) একেএম মারুফ হাসান (কমান্ডার বিএন) জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোলা খালের পাঙ্গাসিয়া বাজার ঘাট থেকে কোষ্ট গার্ড সদস্যরা ৭০ হাজার লিটার পেট্রোলসহ ও টি মিয়া জমিরশাহ-২ নামের একটি অয়েল ট্যাংকার ও ২টি তৈলবাহী লরী (ঢাকা মেট্রো-ঢ ৪৪০০২৮ ও ঢাকা ৬-৩৪৬৩) আটক করে। এরপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভোলা থানায় হস্তান্তর করে।
কোষ্ট গার্ডের কমান্ডার (দক্ষিণ জোন) নজরুল ইসলাম জানান, ভোলা থানার এসআই শওকত হোসেন ওইসব মালামাল বুঝে নেন। এরপর সংস্থাটির পক্ষ থেকে গনমাধ্যমে এই ঘটনার স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজসহ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়। তবে শনিবার বিষয়টি অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে ভিন্ন চিত্র।
এ ব্যাপারে ভোলা থানার চলতি দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। তিনি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয়ে ভোলার পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোনো বাহিনী যদি অবৈধ মালামাল আটক করে, ওই মালামালসহ থানায় মামলা করার কথা। কিন্তু আামার জানা মতে এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়নি।
মালামাল বুঝে নেয়া ভোলা থানার এসআই শওকত হোসেন-এর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কোষ্টগার্ড-এর গোয়েন্দা শাখা সূত্রে জানা গেছে, ভোলা খালপাড় রোডের নাঈম ট্রেডার্সের মালিক কবির হোসেন এ মালামালের মালিক। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন।

আরো জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও এই ব্যক্তির বিপুল পরিমান চোরই তেল, ট্যাংকার ও ২১টি লরী কোষ্টগার্ড আটক করেছিল। ওই ঘটনায় এখনো মামলা চলছে। একটি সূত্র জানায়, ভোলার রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে বিশাল অংকের লেন-দেনে এসআই শওকত হোসেন আটক হওয়া মালামাল ছেড়ে দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top