সকল মেনু

শাহেদ হত্যার ২৭ দিনের মাথায় মায়ের এজাহার দায়ের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: মঙ্গলবার দিনভর একুশে টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর জন্ম দেয়া ছেলের হত্যার ২৭ দিনের মাথায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এজাহার দায়ের করতে থানায় আসলেন শাহেদের মা মিতা রহমান (৫৫)। ছেলে হত্যার পর তিনি ও তার মেয়ে অজ্ঞাতবাসে চলে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টা ১০ মিনিটে  চাঁদপুর মডেল থানায় নিহত শাহেদের মা মিতা রহমান একটি এজাহার দায়ের করেন। তিনি তার এজাহারে উল্লেখ করেন গত ১১ এপ্রিল সকালে তার ছেলেকে বাসায় রেখে মেয়ে হিরাকে নিয়ে কোচিং মাস্টারের কাছে যান। দুপুর ১২টার সময় এসে দেখেন তাদের দরজা খোলা। তারা ভেতরে ঢুকে শাহেদের কক্ষের সামনে গিয়ে শাহেদকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তখন ফ্লোরে প্রচুর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল। বিছানার চাদরগুলো এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় বাড়ির মালিক ও ফুফাতো ভাই ডাঃ মোবারক ঘটনা জানলে তার মালিকানাধীন প্রিমিয়ার হাসপাতালের স্টাফদের খবর দিয়ে আমার ছেলে শাহেদকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। আমার ছেলের মাথার ডান পাশে থেতলানো জখম এবং তার ডান চোখে কালো ফুলা এবং নাকে-মুখে রক্ত প্রবাহিত হতে দেখা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে পাঠাই। রাত ৯টায় ঢাকায় যাওয়ার পর হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমাকে ও আমার মেয়েকে ঢাকায় রেখে আমার মৃত ছেলেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানাধীন সুবিদপুরে ১২ এপ্রিল সকালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আমরা বাসায় না থাকায় দুষ্কৃতকারীরা কৌশলে আমার বাসায় ঢুকে আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলে। আমার ছেলের মৃত্যুর ঘটনার ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় থাকা এবং এ ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান ও ধারণা না থাকায় পরবর্তীতে আত্মীয়স্বজনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেই থানায় আসার। এজন্যেই এজাহার দায়েরে বিলম্ব হয়। চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ আব্দুর কাইয়ুম মামলা গ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top