সকল মেনু

নির্যাতনের পরেও আসামি রিমান্ডে

   আদালত প্রতিবেদক: আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করার পরেও রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। যদিও মামলার নথিতে ঢাকা মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে উল্লেখ করেছেন, আসামি শারিরিক ভাবে জখম প্রাপ্ত প্রতীয়মান হওয়ায় আসামিকে সুচিকিৎসা পুর্বক ডাক্তারী সনদপত্র রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনের সঙ্গে দাখিলের জন্য ঢাকা বিমান বন্দর থানাা এস আই গোলাম কিবরিয়া হাসান কে নির্দেশ দেওয়া হইল। এছাড়া রিমান্ড আদেশে আরো বলা হয়েছে, দরখাস্তকারী আসমির নাম মামলার এজাহারে নাই। আসামির কাছ থেকে কোন আলামত উদ্ধার নেই। দরখাস্তকারী আসামিকে পাশবিক নির্যতন করিয়াছে মর্মে আসামির শরীরের নির্যাতনের দাগ গুলো দেখাইয়া রিমান্ড বাতিল করে জামিনের নিবেদন করেন আইনজীবীরা। এছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর আবেদন করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য এবং সিডি ও দাখিলকৃত দরখাস্ত সমুহ পর্যালোচনা করিলাম। পুলিশ ফরোয়াডিংয়ে দেখা যায় যে, অত্র মামলার উদ্ধারকৃত ১ লক্ষ ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল এর মুল মালিক দরখাস্তকারী নিজে এবং সে প্রধান আসামি মুজিবকে পাচার করিবার জন্য দিয়েছিল। তাই সার্বিক অবস্থা পর্যলোচনা করে ১ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হইল। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসরন পুর্বক সতর্কতরা সঙ্গে দুই কার্য দিবসের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আই ও কে নির্দেশ দেওয়া হইল।
এরআগে আসামির আইনজীবীরা শুনানীতে ২০ ডি এল আর পৃষ্ঠা ২৬৪ (ডব্লিউ পি) এর উদ্ধৃতি দিয়ে  আদালতকে বলেছিলেন, আসমিকে রিমান্ডে দেওয়ার আগে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ ও রিমান্ড যথার্থ হওয়ার সাক্ষ্য সর্ম্পর্কে নিশ্চিত হতে পুলিশ ডায়েরি পর্যালোচনা করে আদেশ দিন। তাছাড়া আসামি আপনার সামনে উপস্থিত আছে। সে শারীরীরক ভাবে অসুস্থ । তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আগেই থানায় নিয়ে কম্বল থেরাপি (কম্বল প্যাঁচিয়ে পেটানো), বস্তা থেরাপি (বস্তায় পুরে পেটানো-আছড়ানো), বাদুর ধোলাই (উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো), ড্যান্সিং টর্চার (বৈদ্যুতিক শক), পায়ুপথে লাঠি বা গরম ডিম ঠুকানো, পেনিস থেরাপিসহ ইত্যাদি ধরনের লোমহর্ষক নির্যাতন করা হয়েছে বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে। তাই আসামির সুস্থতা সাপেক্ষে রিমান্ড শুনানী হওয়া প্রয়োজন। কিন্ত হাকিম আসামির আইনজীবীদের বক্তব্য আমলে না নিয়ে রিমান্ড শুনানী শেষে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
মামলার নথি সুত্রে দেখা গেছে, আসামিরা আইনজীবীরা আদালতের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন আসামী আল ইসলামকে আটক করার পরে তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে ঢাকা বিমান বন্দর থানা পুলিশ। পরে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিলে বাকি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার জন্য এই মারধর করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top