সকল মেনু

শ্রমমন্ত্রীর কাছে ২২ চা বাগান প্রতিনিধির স্মারকলিপি

 এম শাহজাহান আহমদ,মৌলভীবাজার: মহান মে দিবস উপলক্ষে চা শ্রমিকদের আয়োজিত বিশাল সমাবেশে ঘোষিত ৬ দফা দাবী আদায়ের প্রথম কর্মসূচী হিসাবে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনওর)-র মাধ্যমে শ্রম মন্ত্রীর কাছে  ২২ চা বাগান প্রতিনিধি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।  রোববার (৪ মে) বেলা ২টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
১ মে বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া চা বাগানে ১৫ হাজার চা শ্রমিকের উপস্তিতিতে শ্রম দিবসের বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সভাপতি মাখন লাল কর্মকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে ২০ মে পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করেন। দাবীগুলো হচ্ছে, অবিলম্বে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন দিতে হবে। ২০ মের মধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু না করলে ২০০৮ সনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে চা বাগান মালিক পক্ষ দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি করতে হবে। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। চা শ্রমিকদের ব্যবহৃত ভূমি কেড়ে নেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ করে ইতিমধ্যে কেড়ে নেওয়া ভূমি ফেরৎ দিতে হবে। ভিটা উচ্ছেদ, নৈমিত্তিক ছুটিসহ বৈশম্যমূলত আইন সংশোধন করতে হবে। চা বাগান শিক্ষা ট্রাষ্ট ও চা শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডের শিক্ষা বৃত্তি পূণৎ চালু করতে হবে।
৪ মে রোববার এক যোগে সিলেট বিভাগের প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শ্রমমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ১১ মে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শ্রমমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। ১২ মে থেকে প্রতিটি চা বাগানে চা শ্রমিকদের সভা, মিছিল ও গণ সংযোগ চলবে। ২০ মে পর্যন্ত  সরকারী উদ্যোগ গ্রহনের অপেক্ষা ২১ মে থেকে লাঘাতার ধর্মঘট চলবে দেশের মোট ২৪০টি চা বাগানে। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সভাপতি মাখন লাল কর্মকার ও সাধারন সম্পাদক রাম ভজন কৈরী এ প্রতিনিধিকে বলেন, তাদের ন্যায্য দাবী আদায়েই এই ঘোষণা। এতে তারা পিছ পা হবেন না। তারা আরও বলেন, বার বার তাদের সাথে সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক করে আশ্বাস দিয়ে পরে প্রতারনা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top