সকল মেনু

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৩ ডাকাতকে আটক

 মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,০৫এপ্রিল: মৌলভীবাজারের রাজনগর কদমহাটা এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস গাড়ি ও দেশীয় অস্ত্রসহ  ব্রিজের কাছ থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রামবাসির সহায়তায় ৩ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটক চালক শাহ আলম তার স্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্ধীতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আদালতে।মডেল থানা পুলিশ জানায়, গত কয়েক দিন ধরে জেলা সদরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ায় আতংক বিরাজ করায় পুলিশি অভিযান জোরধার করা হয়। শনিবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল ৮ সদস্যের ডাকাত দল। ডাকাতির খবর পেয়ে মডেল থানার এস আই সাজ্জাদুর রহমান ও মনজুরুল হাসান মাসুদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঐ গ্রামে অবস্থান নিলে ডাকাত দল গাড়ি রেখে একটি ব্রীজের নিচে আত্ম গোপন করে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ গ্রামবাসীকে নিয়ে ঐ ব্রীজের কাছে অভিযান চালিয়ে ৩ ডাকাত সদস্যকে আটক করে। এসময় বাকী ৫ ডাকাত সদস্য পালিয়ে যায়। আটক ডাকাতরা হচ্ছে সদর উপজেলার গুজারাই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে গাড়ি চালক শাহ-আলম(২২), রাজনগর উপজেলার আশ্রাকাপন গ্রামের মাহমুদ মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া(২৮) ও সহযোগি আরিফুল ইসলাম(২২)। এসময় মাইক্রোবাস থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত মুখোশ, চা-পাতি ও থালা ভাঙ্গার (লেচারভীম), হাত মোজা ও লোহার রড়সহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
আসামী গাড়ি চালক শাহ আলম রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট মোঃ জুলফিকার আলীর আদালতে  কাঃবিঃ ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্ধীতে জানায়, আসামী রাজু মোবাইল ফোন করে তাজপুর নামক স্থানে একটি গানের অনুষ্টানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গত ২৯ মে রাত ৯ টা ৩০মিনিটে তার কথা মতো গাড়ি চালক শাহ-আলম কদমহাটা যায়। সেখানে আসামী রাজু ৫শত টাকা দিয়ে গাড়িতে গ্যাস নিতে বলে। তার গাড়ি নিয়ে সে চাদঁনীঘাটে গ্যাস নিতে যায়। এরপর রাত একটার দিকে আসামী রাজু চালক শাহ-আলমকে গাড়ি নিয়ে কদমহাট যেতে বলে। কদম হাটা থেকে রাজু দেশীয় অস্ত্রের ব্যাগসহ ৫জন তার মাইক্রোবাস গাড়িতে উঠে। তারপর গাড়ি নিয়ে চাদনীঘাট এলাকায় আসারপর আসামীদের মূখে ডাকাতির কথা শুনতে পায়। আসামীরা তাদের গাড়িতে থাকা ব্যাগ থেকে দা, ছুরি, মুখোশ, চা-পাতি ও থালা ভাঙ্গার বড় কাটার (লেচারভীম), হাত মোজা ও লোহার রড় বেড় করে। তখন অপর আসামীরা তার গাড়িটি শহরের হিলালপুরে নিয়ে যেতে বলে। সে গাড়িটি নিয়ে হিলালপুরে পৌছলে উক্ত আসামীরা গাড়ি থেকে নেমে ডাকাতি করার জন্য যায়। তখন রাজু গাড়িতে বসা ছিল। এর অনুমান ১ঘন্টা পরে ডাকাতি করে গাড়িতে ফেরৎ আসে। তারপর সে গাড়ি নিয়ে কামালপুর নতুন ব্রীজ হয়ে উত্তরমোলাইম রাস্তার মূখে আসলে পুলিশ পিছনে ধাওয়া করে। তখন গাড়ি নিয়ে দূত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ সেসহ কাউকে আটক করতে পারেনি। গত ২৯ এপ্রিল শহরতলীর হিলালপুর গ্রামে ডাকাতের গুলিতে নজরুল ইসলাম নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত ও নুরুল আহমদের বাড়ীতে দরজা ভেঙ্গে ঘড়ে প্রবেশ করে এলোপাথারি মারধর করে ৫ জনকে আহত করে ডাকাতি চালায়। এ সময় আলমিরা ভেঙে নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয়ার ঘটনার সাথে তার গাড়িতে থাকা ডাকাত সদস্যরা জড়িত ছিল বলে জানায়।
এ ব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুছ ছালেক জানান, শেখ মোঃ শাকির বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ১২/১৩ জন ডাকাত দিয়ে ৩৯৫/৩৯৭ দঃবিঃ দিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনজন গ্রেপ্তার হলেও বাকি পলাতকদের আটক করতে প্রতিদিন পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top