সকল মেনু

কোটালীপাড়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন

 কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে গৌরাঙ্গ লাল দাস: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।প্রতিদিন কোটি টাকার তরমুজ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তরমুজের বাম্পার ফলন হবার কারণে কৃষক ও কৃষানীর মুখে সর্বদা দেখা যায় আনন্দের হাসি। সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই তারা এ বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন বলে এলাকার কৃষকগণ জানিয়েছেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অত্র এলাকা হয়ে উঠতে পারে তরমুজ চাষের একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে অত্র উপজেলায় ৩শত ৫০ হেক্টর জমিতে এ বছর তরমুজের চাষ করা হয়েছে। মৌসুম শেষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মেঃ টন তরমুজ উৎপাদিত হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু কলাবাড়ী ইউনিয়নের চকপুকুরিয়া,মাছপাড়া, বুরুয়া, নলুয়া, তেতুলবাড়ী, কুমুরিয়া, রুথিয়ারপাড়, হিজলবাড়ী,চিতলীয়া এলাকার কৃষকগণ কৃষি অফিসের এ তথ্য মানতে রাজি নয়। তারা দাবী করেন এ বছর তরমুজের ফলন হবে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেঃ টন। কলাবাড়ী ইউনিয়নের বুরুয়া গ্রামের কৃষক নারায়ন বিশ্বাস বলেন, উচ্চ ফলনশীল ফিল্ডকিং, সুগার, ফিল্ডমাস্টার, টফিল, জাম্বুম্যান, গোরিয়া, সুপ্রিম সুগার,চ্যাম্পিয়ন জাতের তরমুজের চাষ তারা করেছেন। তবে সবচেয়ে ভাল ফলন হয়েছে সুগার জাতের তরমুজে। কালীগঞ্জ গ্রামের দীনেশ হালদার জানান- তিনি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমি চাষ করতে খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। এ বছর যে তরমুজের ফলন হয়েছে সে থেকে প্রতি বিঘা জমির তরমুজ বিক্রি হবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। পৌষ মাঘ মাসে তরমুজের চাষ হয় এবং চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখের শেষ পর্যন্ত চলে বিক্রি। সরেজমিনে কালীগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখাযায়- তরমুজ বিক্রির জন্য ৬০ থেকে ৭০ টি আড়ৎ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সকল আড়ৎ থেকে ঢাকা, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, কুমিলা, যশোর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরিয়তপুর, সাতক্ষিরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ক্রেতাগণ তরমুজ কিনে ট্রাক যোগে নিয়ে যাচ্ছে। কলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন- আমাদের এখানে দৈনিক প্রতিটি আড়ৎ থেকে দেড় থেকে দু লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়। সে হিসাব মতে দৈনিক প্রায় কোটি টাকার লেনদেন হয়। কিন্তু আমাদের এখানে কোন ব্যাংক নেই। তাই এলাকাবাসী একটি বানিজ্যিক ব্যাংকের শাখা প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়েছেন। কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন,এ বছর তরমুজের ভাল ফলন হয়েছে। আমরা তরমুজ চাষিদের বিভিন্ন প্রকার সহযোগীতা করেছি। তবে সরকারি ভাবে তরমুজ চাষিদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করলে এরা ভবিষ্যতে আরও ভাল ভাবে তরমুজ চাষ করে লাভবান হতে পারবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top