সকল মেনু

যে কারণে সিদ্দিক অপহরণ কাহিনী

 আছাদুজ্জামান.ঢাকা, ১৮এপ্রিল : সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে স্বামীকে ফেরত চেয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, যারা তার কাছে আইনগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারাই আবু বকর সিদ্দিককে অপহরণ করেছেন। এমন সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিয়ে রিজওয়ানা হাসান গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, সম্ভাব্য তিনটি বিষয় এই অপহরণের  পেছনে কাজ করতে পারে।

এ ব্যাপারে থানাপুলিশের কাছে দেওয়া এজাহারে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেননি তিনি। অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা চেষ্টা করছেন আগে-পেছনের কারণ অনুসন্ধানের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে গিয়ে এমন সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিদের সম্পর্কে ধারণা দিয়ে এসেছেন রিজওয়ানা হাসান। তিনি কাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, তার একটা সম্ভব্য ধারণা নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এগোচ্ছেন।

মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা এখনো পরিষ্কার নয়- মন্তব্য করে হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল ধানমন্ডি খেলার মাঠ নিয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সেটির আয়োজন করতে বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের মুখ্য ভূমিকা ছিল। এ ছাড়া, তিনি পরিবেশবাদী, ক্রীড়া-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে মাঠ রক্ষার আন্দোলনে এখনো সোচ্চার আছেন।

এর আগে ২০০৩ সালে সাভারের আমিনবাজারে গড়ে ওঠা মধুমতি মডেল টাউন আবাসিক প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই রায় দেন আদালত।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে হটনিউজ২৪বিডি.কমকে আরো বলেন, রিজওয়ানা তাদের জানিয়েছেন, পেশাগত কারণে দেশের প্রভাবশালী কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার আইনগত বিষয়ে শত্রুতা রয়েছে। চট্টগ্রামের একটি বিশেষ ব্যবসায়ী গ্রুপ তার ওপর ক্ষিপ্ত বলেও তিনি পুলিশকে ধারণা দিয়েছেন।

এ দুটি সম্ভাব্য কারণের পাশাপাশি রিজওয়ানার স্বামী আবু বকর সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এটিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান মহানগর পুলিশের ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার নূরুল ইসলাম হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, রিজওয়ানার স্বামী সিদ্দিককে উদ্ধারে র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমেছে। তারা আশা করছেন, খুব শিগগিরই ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top