সকল মেনু

অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

 কোটালীপাড়া(গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জনতা ব্যাংক লিমিটেড গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া শাখার সাবেক ব্যাবস্থাপক ও দু’এইও(ইনভেস্টিকেশন অফিসার) এর বিরুদ্ধে পল্লী ঋনের অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

সাবেক ব্যাবস্থাপক আশিস কুমার বিশ্বাস এবং এইও সুধন্য কুমার হালদার ও উপানন্দ বালা মিলে ভূয়া ব্যক্তির নামে পল্লী ঋন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অনেক ঋন গৃহীতা ঋন নিয়ে পরিশোধ করার পরেও তাদের টাকা এ্যাকাউন্টে জমা হয়নি।
জানাগেছে,উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের জহরের কান্দি গ্রামের মৃত সাধন বিশ্বাসের দুই ছেলে ক্ষিতিশ বিশ্বাস ও কুমোদ বিশ্বাসের বাড়িতে গত মার্চ মাসে প্রথম দিকে জনতা ব্যাংক কোটালীপড়া শাখা থেকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। এই নোটিশ পাওয়ার পরে ক্ষিতিশ বিশ্বাসের ছেলে দীগবিজয় বিশ্বাস ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ব্যাংক থেকে জানানো হয় তার বারা ও চাচা দুজনে মিলে ৯০ হাজার টাকা পল্লী ঋন উত্তোলন করেছে।

দীগবিজয় বিশ্বাস বলেন,আমার বাবা ১০ বছর আগে ও চাচা ১২ বছর আগে মারা গেছেন। ব্যাংকের সাবেক ব্যাবস্থাপক আশিস কুমার বিশ্ব্সা ও এইও সুধান্য কুমার হালদার মিলে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে পল্লী ঋন উত্তোলন করে।

রামশীল ইউনিয়নের কবরবাড়ী গ্রামের মৃত ছাবেদ আলী মুন্সীর ছেলে চাঁদ মিয়া মুন্সী বলেন,আমি আনুমানিক ১ বছর আগে জনতা ব্যাংক কোটালীপাড়া শাখা থেকে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা পল্লী ঋন গ্রহন করি। গত নভেম্বর মাসে এলাকায় পল্লী ঋন আদায়ের ভ্রাম্যমান গিয়ে সুদসহ সমস্ত ঋনের টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু মার্চ মাসে আমাকে ব্যাংক থেকে টাকা পরিশোধের জন্য নোটিশ দেয়া হয়। এইও সুধান্য হালদার ও ব্যাবস্থাপক আশিস কুমার বিশ্বাস আমার টাকা আত্মসাত করেছে।

উপজেলার হিরণ গ্রামের হাকিম শেখের ছেলে রফিক শেখ বলেন,গত বছর মে মাসে জনতা ব্যাংক কোটালীপাড়া শাখা থেকে আমাকে একটি নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে উল্লেখ করা হয় আমি নাকি ২০১২ সালের ফেব্র“য়ারী মাসে ৫০ হাজার টাকা ঋন উত্তোলন করেছি। নোটিশ পাবার পরে ব্যাংকে যোগাযোগ করে জানতে পারি এইও উপানন্দ বালা ও এলাকার ব্যাংকের দালাল সিদ্দিক মিলে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে আমার নামে পল্লী ঋন উত্তোলন করেছে।

আশিস কুমার বিশ্বাস ও এইও উপানন্দ বালা বর্তমানে জনতা ব্যাংক সাতপাড় শাখায় কর্তরত রয়েছে।অপর দিকে এইও সুধন্য কুমার হালদার পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংক কোটালীপাড়া শাখার সাবেক ব্যাবস্থাপক আশিস কুমার বিশ্বাস এবং এইও উপানন্দ বালার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
ইসলাম,০৬ বর্তমানে কোটালীপাড়া শাখার ব্যাবস্থাপক কাজী ইমদাদুল হক বলেন,বর্তমানে আমাদের এই শাখায় ১৬ কোটি টাকা পল্লী ঋন বকেয়া রয়েছে। আমি এই শাখায় ব্যাবস্থাপক হিসেবে যোগদান করে চলতি বছরের শুরুতে ৬ শত ৫০ জন ঋন গৃহীতাকে নোটিশ দিয়েছি। এদের মধ্যে ৫০টি অভিযোগ পেয়েছি। এই ৫০টি অভিযোগকারীর টাকার পরিমান হবে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। যে ভাবে অভিযোগকারীরা আসছে তাতে টাকার পরিমান আরও বাড়বে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনতা ব্যাংক কোটালীপাড়া শাখার এক অফিসার বলেন,টাকার অংক অর্ধ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

জনতা ব্যাংক লিমিটেড ফরিদপুর এরিয়ার উপ-মহা ব্যাবস্থাপক মো.জয়েনউদ্দিন অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন,দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top