সকল মেনু

রাজশাহীতে আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না

রাজশাহী, ৬ এপ্রিল (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : রাজশাহী বিভাগে গত কয়েক বছর ধরে আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে প্রতিবছরই রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য অধিদফতরকে বরাদ্দ ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।

গত আমন মৌসুমে ৩ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো তা ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।

রাজশাহী অঞ্চলে আতপ চাল তৈরি করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক মিল না থাকার কারণে বরাদ্দের চিঠি মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠাতে হয় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সরকার।

তিনি জানান, রাজশাহী অঞ্চলে প্রতিবছর দুই মৌসুমে চাল সংগ্রহের জন্য সরকারি বরাদ্দ আসে। প্রতিবছর সেদ্ধ চালের যে লক্ষ্যমাত্রা থাকে তা পূরণ করা সম্ভব হয়। কিন্তু আতপ চাল (সেদ্ধ না করে যে চাল তৈরি করা হয়) লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।

পরিমল চন্দ্র সরকার আরো জানান, রাজশাহী অঞ্চলে আতপ চাল তৈরি করার জন্য যে ধরনের মিলের প্রয়োজন, তার অভাব রয়েছে। এ কারণে প্রতি মৌসুমে মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ আসে তা ফেরত পাঠাতে হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় প্রতি মৌসুমে এ অঞ্চলের মিলাররা (মিল মালিক) বিশাল অংকের ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর পাশাপাশি কৃষকরাও পাচ্ছেন না ধানের ন্যায্য মূল্য।

রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত আমন মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চল থেকে ৩ হাজার মেট্রিকটন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। প্রতি কেজি চালের সরকারি দাম নির্ধারিত ছিল ২৯ টাকা। তবে আগ্রহী মিলার না থাকার কারণে এ বরাদ্দটি ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। শুধুমাত্র নাটোর ও বগুড়া জেলা থেকে কয়েকশ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।

রাজশাহী জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাবুল হোসেন জানান, রাজশাহী জেলার চারঘাট, বাগমারা ও গোদাগাড়ী উপজেলায় শুধুমাত্র একটি করে আতপ চালের মিল আছে। গত বোরো মৌসুমে আতপ চাল সংগ্রহের জন্য ওই তিনটি মিলকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু মিল মালিকরা বরাদ্দের বিপরীতে চাল সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে আমন মৌসুমে ওই তিন মিলকে আতপ চাল সংগ্রহের জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

তিনি আরো জানান, রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ সাধারণত সেদ্ধ চাল ব্যবহার করেন। এ কারণে এ অঞ্চলের অধিকাংশ মিলগুলো সেদ্ধ চাল কেন্দ্রীক। হাতে গোনা কয়েকটি আতপ চালের মিল রয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র সরকার বলেন, সরকারিভাবে বেশি ধান এবং চাল মিল ও বাজার থেকে সংগ্রহ করলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেদ্ধ চালের পাশাপাশি এ অঞ্চল থেকে বেশি পরিমাণে আতপ চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হলে মিল মালিকরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি কৃষকরাও পেতেন তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top