সকল মেনু

বল হাতে অশ্বিন-জাদু

ক্রীড়া ডেস্ক, ৫ এপ্রিল (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : এমন একটি ডেলিভারির অপেক্ষায় হয়তো থাকেন লেগ স্পিনাররা। তবে রবিচন্দ্র অশ্বিন তো লেগি নন, পিউর অফ স্পিনার। কত ধরনের অস্ত্র যে তার ঝুলিতে মজুদ আছে তার নজির শুক্রবার আবারও দেখালেন তিনি। ক্রিকেটবোদ্ধারা ডেলিভারিটিকে বলছেন ‘ক্যারম বল’, খালি চোখে কিন্তু মনে হবে লেগ স্পিন।

এসব বিতর্ক থাকলেও আমলাকে বোল্ড করে দেওয়া ওই ডেলিভারিটি নিয়ে আলোচনা চলবে অনেক দিন, হয়তোবা গবেষণাও হতে পারে। তবে অশ্বিনের দুর্দান্ত বোলিং সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করার মতো পুঁজি সংগ্রহ করেছিল। আর হাফ সেঞ্চুরি করে এতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অধিনায়ক ডু প্লেসিসও।

অশ্বিনের স্মরণীয় ওই ডেলিভারিটি আসে ষষ্ঠ ওভারে। শুক্রবার প্রথম বলটিই লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে দিয়ে করেন অশ্বিন। ওই ওয়াইড বলটি দেখে হয়তো অনেকে মুচকি হাসতেও পারেন। যে কোনো বোলারই ওয়াইড দিতে পারেন। তাই বলে লেগ স্টাম্পের এত বাইরে! তাও কি-না একজন অফ স্পিনারের হাত থেকে বেরুল। কেন অশ্বিন লেগ স্টাম্পের এত বাইরে বল ফেলেছিলেন তা স্পষ্ট হয়ে গেল পরের বলেই। ক্যারম বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে ফেলেন তিনি। হাশিম আমলাও লেগ সাইডে ফ্লিক করার জন্য ব্যাট ঘুরান। কিন্তু বল তার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে অফ স্টাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। বোল্ড হওয়ার পর বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না আমলা।

অবশ্য তার আউটটি একদিক থেকে শাপেবর হয়েই দেখা দেয় প্রোটিয়াদের জন্য। তৃতীয় উইকেটে প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপটা গড়ে ওঠে। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস এবং জেপি ডুমিনি ৭১ রান যোগ করে দলকে বড় রানের ভিত গড়ে দেন। তবে তার ৪১ বলে খেলা ৫৮ রানের ইনিংসটি পরিসমাপ্তি ঘটে অনেকটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে। এবং এবারও উইকেটের মালিক অশ্বিন। লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়া ডেলিভারিটি লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন ডু প্লেসিস। কিন্তু বল তার প্যাডে এবং শরীরে লেগে স্টাম্পে গিয়ে আঘাত হানে।

আরেক তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্সের উইকেটটিও নেন অশ্বিন। প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয় ডু প্লেসিসের আউটে। তিনি যখন উইকেটে ছিলেন তখন প্রোটিয়াদের স্কোর ২শ’র কাছাকাছি চলে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু তার বিদায়ের পর শেষ পাঁচ ওভারে ৪৫ রান ওঠে।

ম্যাচটিকে বলা হচ্ছিল ভারতের স্পিনারদের বিপক্ষে প্রোটিয়া পেসের লড়াই। তবে এক অশ্বিন ছাড়া ভারতের আর কোনো স্পিনার সফল হতে পারেননি। বিশ্বকাপে ধোনির তুরুপের তাস হয়ে ওঠা অমিত মিশ্র তো বেধড়ক মার খেয়েছেন। তার তিন ওভার থেকে আসে ৩৬ রান। উইকেট তো দূরের কথা, ব্যাটসম্যানদের ওপর সামান্য প্রভাবও ফেলতে পারেননি তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top