সকল মেনু

উন্নয়ন সহযোগীরা এগিয়ে আসছে না

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ৫ এপ্রিল (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ‘সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস’ বা এসডিজি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেছেন, ইতিপূর্বে উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস’ বা এমডিজি প্রণয়ন করেছে। তবে, এমডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছেনা। তারা এগিয়ে আসছেন না।

শুক্রবার জেনেভায় ২০১৫ পরবর্তী টেকসই উন্নয়নের উপর আয়োজিত ‘দ্বিতীয় জেনেভা ডায়লগ’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এবারের ডায়লগের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দি পোস্ট-২০১৫ সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট এজেন্ডা: দি রোড ফ্রম বালি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৪৮টি স্বল্পোন্নত দেশে পৃথিবীর ১২ শতাংশ মানুষ বসবাস করে। কিন্তু বৈশ্বিক উৎপাদনে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তাদের অবদান মাত্র এক শতাংশ। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি প্রবর্তন করা হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ৪টি দেশ সেই ক্যাটাগরিতে উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম-এমন বিশ্বাস থেকেই বাংলাদেশ বাজার অর্থনীতি প্রবর্তন করেছে। এর ফলে রপ্তানী খাত দেশের আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন,‘আমাদের রপ্তানী আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে টেক্সটাইল খাত থেকে। এ খাত প্রায় ৪ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থানও করেছে। যার বিশাল অংশ মহিলা এবং তারা সামজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তবে, অনেক চেষ্টার পরেও রপ্তানী বহুমূখীকরণে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। যে কারণে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের বাজার সুবিধাও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে, বিশ্বায়নের ফলে অনেক স্বল্পোন্নত দেশ ‘মার্জিনালাইজড’ হয়ে পড়েছে। এর জন্য তাদেরকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি।

তোফয়েল আহমেদ বলেন, ১৬ বছর আগে তিনি যখন বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন উন্নত দেশের বাজারে সকল স্বল্পোন্নত দেশকে শুল্ক-মুক্ত ও কোটা-মুক্ত বাজার সুবিধা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু, দূর্ভাগ্যবশতঃ এখন পর্যন্ত উন্নত দেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সেই কাঙ্খিত বাজার সুবিধা দেয়নি।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top