সকল মেনু

কমলগঞ্জে চোরাই কাঠ আটক নিয়ে তোলপাড়

 মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পৃথক দুটি স্থান থেকে চোরাই সেগুন ও আগর গাছের চালান আটক করে স্থানীয় বন বিভাগ। বন বিভাগ কর্তৃক আটক চোরাই সেগুন কাঠের চালানের ঘটনায় বিভাগীয় মামলা হলেও পুলিশ কর্তৃক আটক আগর গাছের চালান স্থানীয় মন্ত্রীর দোয়াই দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। চোরাই আগর গাছের চালান মন্ত্রীর দোয়াই দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় কমলগঞ্জে তোলপাড় চলছে।জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গলস্থ সহকারী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (এসিএফ) কমলগঞ্জ পৌর এলাকার ভানুগাছ বাজারস্থ কাউসার টিম্বার এন্ড স’মিল এর সামনে থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গোল ও ফাইল সাইজের মোট ২৮ টুকরো সেগুন কাঠ উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত চোরাই সেগুন কাটের পরিমাণ সাড়ে ৩৮ ঘনফুট। বন বিভাগের এসিএফ মোঃ সাজ্জাদুর রহমান চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ সেগুন কাঠ উদ্ধারের সময় কোন মালিক খোঁজে পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকৃত কাঠ বৈধ হলে কাঠের গায়ে অবশ্যই বন বিভাগের বৈধ সিল মার্কিং থাকতো। তিনি আরও বলেন, বনবিভাগের বৈধ কোন সিল না থাকায় বন আইনে একটি মামলা করে বনবিভাগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স’মিলের শ্রমিকরা জানান, আটক কাঠের চালান ‘আ’অদ্যাক্ষরের কমলগঞ্জ থানার এক উপ-পুলিশ পরিদশকের ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার কয়েক পুলিশ সদস্য জানান, ওই কাঠের চালান আনা হয়েছিল জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তার জন্য। বন বিভাগ কর্তৃক আটক চোরাই কাঠের চালান ছাড়িয়ে নিতে কমলগঞ্জ থানার বেশ ক’জন পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যর্থ হলে ক্ষেপে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। দুপুর দেড়টার দিকে রাজকান্দি রেঞ্জ অফিস থেকে নিলামকৃত পচে যাওয়া জ্বালানি কাঠ ঠেলাগাড়ি যোগে স্থানান্তরকালে পুলিশ করিম নামে এক বন শ্রমিককে আটক করে। ঘটনার দুই ঘন্টা পর থানা থেকে ওই শ্রমিককে ছাড়িয়ে নেন প্রভাবশালী এক নেতা। বিকাল ৩টায় কমলগঞ্জ গণ-মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে পিকআপ বোঝাই আগর গাছসহ (ঢাকা মেট্রো-ন-১১-৫২৫৩) গাড়ি আটক করে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিক্তিতে কমলগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক চম্পক দাম-এর নেতৃত্বে প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের চোরাই আগর গাছের চালান আটক করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ । আটক চোরাই আগর গাছের চালান ছাড়িয়ে নিতে তৎপর হয়ে উঠে একটি মহল। স্থানীয় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তদন্ত সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তা বলেন স্থানীয় মিনিস্টার ফোন করেছেন গাছের বৈধ কাগজ রয়েছে। কাগজপত্র যাছাই-বাছাই করে গাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্যও মন্ত্রী বলেছেন। তাই কাগজপত্র যাছাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার রাতে আগর গাছের গাড়িটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে গুঞ্জন রয়েছে পুলিশ মোটা অংকের বিনিময়ে আগর গাছের চালান ছাড়ে মন্ত্রীর দোয়াই দিয়ে।  প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আগর গাছের বৈধ মালিক ও বৈধ কাগজপত্র থাকায় যাছাই বাছাই পূর্বক গাছগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রীর নাম আসা ও স’মিল থেকে পুলিশ কর্মকর্তার কাঠ আটক গুঞ্জন সম্পর্কে ওই পুলিশ কর্মকর্তা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top