সকল মেনু

ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনারকে সহনশীল হতে বললেন-সুরঞ্জিত

মেহেদী হাসান,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারকের সমালোচনা করে তাকে সংযত ও সহনশীল হতে বললেন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।সুরঞ্জিত বলেন,” নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ও একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। দেশের  গণতন্ত্রের অস্তিত্ব এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যুক্ত। নির্বাচন কমিশনারের পদ তাই অত্যন্ত সম্মানজনক। এই কমিশনের প্রধান হিসেবে নির্বাচন তাকে সহনশীল হতে হবে। আমরা তার কাছ থেকে এই ধরনের বক্তব্য আশা করি না। সমালোচনার জবাব এত তীব্র, তির্যকভাবে না জানালেও চলে।”উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি রকিব উদ্দিন আহমদের অনুপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচনের তদারককারি নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক গত ৩০ মার্চ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন,” নাকে খত দিতেছেন তো। আর কী কথা।” ফলে কমিশনারের এই উক্তি বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচিত হয়।সুরঞ্জিত বলেন,” এই সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতি প্রয়োজন ছিল। তার এই দীর্ঘদিনের ছুটির কোন যুক্তিসংগত জবাব খূঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটাকে ডিফেন্ড করা কঠিন।”
সদ্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন,” উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নানা কথা হয়েছে। আপনারা যদি মনে করেন খারাপ কিছু হয়েছে তাহলে (নির্বাচন) প্রত্যাখ্যান করুন; তা তো করছেন না।”তিনি আরো বলেন,” (উপজেলা) নির্বাচনে বিএনপি ব্যাপক ভাবে ধর্মকে ব্যাবহার করেছে। এটা নির্বাচনী আচরনবিধির নির্লজ্জ লঙ্ঘন। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। বিএনপিকে বলব, অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজের চেহারা দেখুন।”
তিনি বলেন,” নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ যে একেবারেই হয়নি তা বলব না। কিন্তু দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিএনপি যে পরিমান আসন পেয়েছে তা নজিরবিহীন। আমি আশা করব, এই নির্বাচনের পরে বিএনপি তার অবস্থান থেকে সরে আসবে এবং বলবে দলীয় সরকারের অধীনেও অবাধ নির্বাচন সম্ভব।
সংশোধিত দুদক আইনে সৃষ্ট জটিলতার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দৃষ্টি আকর্ষন করে সংসদের আইন বিচার ও সংবিধান বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সম্প্রতি দুদক আইন (সংশোধিত ২০১৩) এর আওতায় ৪২০, ৪০১ সহ সকল প্রকার আর্থিক প্রতারনা ও জালিয়াতি সংশ্লিষ্ট অপরাধগুলো দুদকের তফসিল ভুক্ত করা হয়েছে। সংশোধিত আইনের ধারা অনুযায়ী, যে কোন আর্থিক প্রতারনা ও জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে দুদকের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। সুরঞ্জিত বলেন,” এই আইনটি(দুদক আইন ২০০৪) সংশোধন করার আগে আরো বিবেচনা করা উচিত ছিল। আমার ধারনা, আইন সংশোধনে যারা যু্ক্ত ছিলেন তাদের মনযোগে ঘাটতি ছিল।” আগামী ১০ তারিখ পার্লামেন্টের সেশন শেষ হবে। আমি আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করব, যেন তিনি এই সময়ের মধ্যে আইন পরিবর্তন কিংবা অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন করেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ফয়জুদ্দিন মিয়া এবং বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top