সকল মেনু

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হটনিউজ ডেস্ক,ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘‘শত কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সঙ্গীত গাইলে লাভ হবে না এবং গণঅভ্যুত্থানে সরকারের বিদায় গিনেস বুকে উঠবে’’ শীর্ষক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই বক্তব্য প্রদান করে বাঙালির চেতনায় আঘাত করেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করেছেন, বাঙালির জাতিসত্ত্বাকে পদদলিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের চেতনাকে খাটো করার চেষ্টা চালিয়েছেন যে জাতি নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেই জাতি বেগম খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি বলেন, একদিন বেগম খালেদা জিয়া দাম্ভিকতার সহিত বলেছিলেন এই নির্বাচন কমিশন এবং এই সরকারের অধীনে তারা কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা যে ভুল করেছিলেন তা চলমান উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেই প্রমাণ করেছেন।

সেই একই নির্বাচন কমিশন এবং একই সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমেই তিনি প্রমাণ করেছেন যে, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। যার ফলে বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় বেগম খালেদা জিয়ার মনোনীত বা সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। তাছাড়া তিনি উপজেলা নির্বাচনের পর যে আন্দোলনের কথা বলেছেন তা জাতির সামনে এখন হাস্যকর বিষয় হিসেবে পরিণত হয়েছে। এর পূর্বেও অনেক আল্টিমেটাম বাংলার জনগণ দেখেছে, শুনেছে। কোন ধরনের হুমকি-ধামকিতে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ভীত সন্ত্রস্ত নয় এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে গিনেস বুকে নাম উঠানোর স্বপ্ন বাংলার জনগণ কোনদিন সফল হতে দেবে না। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে ভারতে ট্রেনিং নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শরণার্থী বলে বাংলার শ্রেষ্ঠ
সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ট্রেনিং নিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করলেও তখন তিনি কোথায় ছিলেন এটা জাতির অজানা নয়। সেই কারণে বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে এই ধরনের বক্তব্য আসলে জাতি হতবাক হয় না।
তিনি বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের কোন উন্নয়ই বেগম খালেদা জিয়ার চোখে পড়ে না। তিনি যখন ঢাকা শহরে চলাচল করেন তখন জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার, বনানী ওভারপাস, হাতির ঝিল প্রকল্প তার চোখে পড়ে না। সারা বাংলাদেশে লোডশেডিং নেই, খাদ্য ঘাটতি নেই, বাংলার জনগণ এখন মোটা ভাত, মোটা কাপড় পড়ে শান্তিতে বসবাস করছে এটা তিনি ভালভাবে মেনে নিতে পারছে না। আওয়ামী লীগ সরকারের হাওয়া ভবনের ন্যায় কোন দুর্নীতির ভবন নেই এটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না।
বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়নের কারণে বাংলার জনগণ বর্তমান সরকারের সাথে আছে এবং থাকবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার যে কোন ধরনের অগণতান্ত্রিক আন্দোলন রাজপথে মোকাবিলা করার জন্য তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top