সকল মেনু

বিয়ে, সংসার এবং সম্পর্ক

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক, ২৮ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : এমন কোনো বাঙালি মেয়ে নেই যে মনের কোণে নিজের বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন সাজায়নি। স্বপ্নের নানা আঁকিবুঁকিতে তন্ময় মেয়েটি একদিন পা দেয় এক নতুন জীবনে।

নতুন মানুষ, ঘর, সমাজ আর পরিবেশ সব মিলেই বিয়ে। বিয়ের পর একটি নতুন পরিবেশে একেবারে অপরিচিত বা সামান্য পরিচিত মানুষের সঙ্গে খাপ-খাইয়ে নেওয়া মুখের কথা নয় বটে, তবে খুব কঠিনও নয়। গ্রহণের মানসিকতা থাকতে হয় দু’পাশ থেকেই। শুধু নতুন পরিবারের মানুষগুলো হাত বাড়িয়ে দিলে যেমন তা ধরে রাখা যায় না, তেমন নতুন মানুষটির একার চেষ্টায়ও হয় না কিছুই।

রাইজিংবিডির এবারের আয়োজনে থাকছে নতুন কনের সম্পর্ক গঠনের কিছু টিপস।

সম্মান ও আস্থা রাখুন সবার ওপর
নতুন পরিবেশে গিয়ে সবার আগে প্রয়োজন হবে সম্মানবোধের। সম্পর্ক ও বয়স যেমনই হোক সবাইকে সম্মান করুন, তবেই না নিজে সম্মান পাবেন। পারিবারিক সম্পর্কের মূলে থাকে আস্থা।

অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে নিজের ওপর আস্থা রাখুন
যেহেতু দুটি পরিবারের মানুষ কখনোই এক ধরণের মানসিকতার হবে না, তাই তাদের আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, পরিচ্ছদ আর ভাবনাও এক হবে না। এ ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব মানিয়ে নিন।

অপছন্দ বলুন হাসিমুখে
আপনার পছন্দ-অপছন্দ জানার আগেই সেটা কেউ করবে না এমন আশা না রাখাই ভালো। পছন্দের কথা যেমন হাসিমুখে জানাবেন তেমন অপছন্দের কথাও জানান হাসিমুখে, শান্ত স্বরে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে এক সঙ্গে বুঝিয়ে বলতে যাবেন না। পরিবারে আপনার সঙ্গে যার সম্পর্ক ভালো তাকে বলুন। সে হতে পারে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, দেবর, ভাশুর বা জা যে কেউ। ধীরে ধীরে সবাইকে অভ্যস্ত করুন।

ভালবাসুন
বিয়ের পর স্বামীকে ভালোবাসার পাশাপাশি ভালোবাসুন অন্যদেরও। ভালোবাসা দিতে না পারলে পাবেন কেমন করে? বাড়িতে শিশু থাকলে আদর দিন। বৃদ্ধ থাকলে তার সঙ্গে গল্প করুন। তাদের মতামতের গুরুত্ব দিন। আর সমবয়সীদের সঙ্গে সম্পর্ক করুন বন্ধুত্বপূর্ণ।

শ্বশুর-শাশুড়িকে খুশি রাখুন
নতুন বউর কাছে শাশুড়ির প্রত্যাশা একটু বেশিই থাকে। ছেলের ওপর মায়ের দাবি আর নির্ভরতাও থাকে অনেক। সেটাকে ভাঙতে যাবেন না। বরং সেটাকে সম্মান দিন। শ্বশুরকে সময় দিন। শাশুড়ির কাজে সহায়তা করুন। তাদের অবসরের সঙ্গী হন কখনো কখনো। এক বিকেলে অন্তত তাদের সঙ্গে চা পান করুন। দেখবেন, সম্পর্ক সহজ হবে অনেকটাই।

স্বামীকে সময় দিন
আপনার নতুন জীবনে প্রবেশ যে মানুষটির হাত ধরে কখনো কাজের চাপে তাকে ভুলে যাবেন না। সুখ-দুঃখ-আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি স্বামীর কাছে থাকুন রহস্যময় ও আকর্ষণীয় হয়ে। ঘুরতে যাওয়া, গল্প করা, মুভি দেখা এসবের পাশাপাশি তাকে দিন পরিপূর্ণ স্বাধীনতা। আপনার চাপে যেন সে বিরক্ত না হয় সেটা খেয়াল রাখুন।

সন্দেহ করবেন না
অধিকাংশ সম্পর্ক নষ্ট হয় সন্দেহের জন্য । পরিবারের কাউকে সন্দেহ করবেন না । জানার থাকলে আলোচনা করুন । কথা বলে সমাধান করুন। কী, কেন, কীভাবে, কার সঙ্গে, কীসের জন্য, কখন, কবে এসব প্রশ্নে পরিমিত বোধ রাখুন।

অতিরিক্ত চাহিদা থেকে বিরত থাকুন
নতুন জীবনে আপনার চাহিদা থাকতে পারে অনেক কিছুই। কিন্তু সে সবের পেছনে যুক্তি চিন্তা করুন। সামর্থ্য নেই এমন কিছু দাবি করবেন না। সেটা একদিক থেকে যেমন বিব্রতকর, তেমন যন্ত্রণাদায়কও বটে।

তবে এসব কিছুর মূলে রয়েছে খুশি থাকতে পারা । জীবনে যা কিছু ঘটছে সহজভাবে নিয়ে খুশি থাকতে চেষ্টা করুন। কী পেলাম না ভেবে মাথা গরম না করে কী পেয়েছি সে হিসাব কষুন। আর এগিয়ে যান হাসিমুখে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top