সকল মেনু

থাইল্যান্ডের স্যাটেলাইটে ৩০০ ভাসমান বস্তু চিহ্নিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ২৭ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধানে নেমে থাইল্যান্ডের একটি স্যাটেলাইট ৩০০ ভাসমান বস্তুু চিহ্নিত করেছে। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে এসব বস্তু চিহ্নিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে আরো বলা হয়েছে, ২৪ মার্চ থাইকোট নামক স্যাটেলাইট বস্তুগুলো শনাক্ত করে। এর আগের দিন ফ্রান্সের স্যাটেলাইট ১২২টি ভাসমান বস্তু শনাক্ত করে।

মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের এমএইচ ৩৭০ ফ্লাইটটি ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে গত ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এর পরে বিশ্বের ২৫টি দেশ অনুসন্ধানে নামলেও এখনও পর্যন্ত বিমানটির খোঁজ মেলেনি এবং এর কোনো ধ্বংসাবশেষও চিহ্নিত হয়নি।

প্রতিকূল পরিবেশের কারণে গত বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান কাজ স্থগিত করা হয়। ওই দিন রাতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, নিখোঁজ বিমানটির ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর কোনো যাত্রীর বেঁচে থাকার আশাও নেই। এ তথ্য ওই বিমানের যাত্রীদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বিবিসির খবরে সূত্র হিসেবে থাইল্যান্ডের জাতীয় দৈনিক দ্য নেশন-এর একটি প্রতিবেদনের কথা বলা হয়েছে। দ্য নেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিখোঁজ বিমানটি অনুসন্ধানের জন্য যে আন্তর্জাতিক এলাকা বেছে নেওয়া হয়েছে তার চেয়ে ২০০ কিলোমিটার দূরে ৩০০ ভাসমান বস্তু থাই আর্থ অবজার্ভেশন স্যাটেলাইটে (থাইকোট) চিহ্নিত হয়েছে।

থাইল্যান্ডের জিও ইনফর্মমেটিক্স অ্যান্ড স্পেস টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির নির্বাহী পরিচালক অ্যানোন্ড সিন্ডভংস বলেছেন, ২৪ মার্চ স্থানীয় সময় ১০টায় ভারত মহাসাগরে ৩০০ ভাসমান বস্তু আমাদের স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে।

তিনি আরো জানান, যে স্থানটিতে বস্তুগুলো চিহ্নিত হয়েছে তা অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে ২৭ শ কিলোমিটার দূরে এবং বিমানটি যেখানে নিখোঁজ হয়েছে বলে অনুমান করে অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে সেই স্থান থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে। চিহ্নিত বস্তুগুলোর কোনো কোনোটি দুই মিটারের চেয়েও লম্বা বলে জানান অ্যানোন্ড সিন্ডভংস।

তিনি আরো জানান, স্যাটেলাইটে চিহ্নিত বস্তুগুলোর ছবি থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুরাপং তোহভিচাকচাইকুলের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। সুরাপং ছবিগুলো মালয়েশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন যাতে তারা খতিয়ে দেখতে পারেন ছবিগুলো নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ কি না।

উল্লেখ্য, থাইকোট স্যাটেলাইট থাইল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার অনুসন্ধান দলের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে আরো বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়া সত্ত্বেও তারা অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top