সকল মেনু

ফেলনা খাবারেই তৈরি করুন “অসাধারণ” কিছু!

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক, ২৭ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : প্রতিদিন প্রায় ৩ বেলা আমাদের রান্না করতে হয়। রান্না করার পর এবং খাবার খাওয়ার পর আমরা অবশিষ্ট অংশ বেশিরভাগ সময় ফেলে দিই। আবার কিছু কিছু ফলের খোসা বা খাবারের ফেলনা অংশ চলে যায় ময়লার বাক্সে। কিন্তু এই সকল ফেলনা খাবার দিয়েও আপনি করতে পারেন অনেক কিছু। কি? বিশ্বাস হচ্ছে না? না হওয়ারই কথা। কারণ আমরা অনেকেই খাবারের অবশিষ্টাংশ এবং ফেলনা অংশ যে কোনো কাজে লাগতে পারে তা কখনোই ভাবি না। কিন্তু আজকে থেকে ভাবুন। এবং এই সকল ফেলনা খাবার দিয়েই করুন নতুন কিছু।

ফেলনা ডিমের খোসা

ডিম ভেঙে ডিমের খোসা আমরা সরাসরি ফেলে দিই ডাস্টবিনে। কিন্তু আজ থেকে ডিমের খোসা না ফেলে একটি প্লাস্টিক ব্যাগে জমা করুন। বেশ কিছু খোসা জমা হলে আধ বালতি পানিতে সারাদিন ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি থেকে ডিমের খোসা তুলে নিয়ে পানিটুকু আপনার শখের টবে বা গাছের গোড়ায় ঢালুন। এটি বেশ ভালো সার হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে গোলাপ গাছের জন্য এই সার অনেক ভালো।

বাসি পাউরুটি

বাসি পাউরুটি খেতে চান না কেউ। কিন্তু যদি ডিমে ডুবিয়ে টোস্ট করে ফেলেন তবে তা নিয়ে কাড়াকাড়ি পরে যাবে। নোনতা টোস্ট পছ্ন্দ হলে ডিমে লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ফেটে নিবেন এবং এতে রুটির টুকরো ডুবিয়ে ঘি বা তেলে বাদামি করে ভেজে তুলবেন। মিষ্টি পছন্দ করলে ডিমে একটু দুধ চিনি মিশিয়ে ফেটে নিবেন। আর যদি খেতে নাই-ই চান, তবে চুলার তলায় একটি প্লেটে পাউরুটি ছড়িয়ে রেখে কিংবা টোস্টারে দিয়ে টোস্টের মতো শক্ত করে নিন। এরপর গুঁড়ো করে বয়ামে ভরে রেখে দিন। ব্রেড ক্রামের মত কাজ করবে।

অবশিষ্ট বাসি তরকারি

একদিনের পুরোনো বাসি তরকারি কেউ খেতে চান না। তাই বাসি তরকারির মধ্যে কিছু ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে এতে লেবুর রস দিয়ে চুলায় নেড়ে গরম করে নিন। দেখবেন তরকারিটির বাসি ভাব একেবারে কেটে গিয়েছে। স্বাদে একেবারে নতুন রান্না মনে হবে।

ফেলনা ছানার পানি

কোনো কাজে ছানা তৈরি করতে হলে আমরা বেশিভাগ সময় ছানা তৈরির পর এর পানিটুকু ফেলে দেই। এই পানিটুকু কখনোই ফেলবেন না। কারণ ছানার পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এই পানি মাংস অথবা অন্য কোন তরকারিতে ঝোল দেয়ার সময় ব্যবহার করুন। এছাড়া সামান্য চিনি বা মধু মিশিয়ে গরম করে খেলে দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে পারবেন। আবার এই পানিটুকু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন, খুশকি একেবারে দূর হবে এবং চুল ঘন কালো ও মসৃণ হবে।

ফেলনা ভাতের মাড়

যারা ভাতের মাড় করেন তারা ভাত রান্না করার পর মাড়টুকু ফেলে দিয়ে থাকেন। কিন্তু আজ থেকে ফেলে না দিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখুন। এরপর এই মাড়ের সাথে ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন। তারপর চিনি বা মধু মিশিয়ে শরবত বানিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখার পর পান করুন। দুপুরের গরমে এ শরবত শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

ফলের খোসা ও বীচি

ডালিমের খোসা, পাকা কালো জামের বীচি ইত্যাদি সবই আমাদের কাছে ফেলনা। কিন্তু এগুলো ভালো করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে খেলে পেট খারাপের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ভালো করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে একটি বোতলে ভরে সংরক্ষণ করতে পারেন।

লেবুর খোসা

লেবু খাওয়ার পর এর খোসাগুলো অনেকেই ফেলে দেন। আবার অনেকে চিবিয়ে খেতেও পছন্দ করেন। এই ফেলনা টুকরো গুলো রয়েছে আর একটি ব্যবহার। এই লেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে অল্প পানিতে সেদ্ধ করে নিন। এই সেদ্ধ করা লেবুর খোসাগুলো হাত দিয়ে চটকিয়ে পানিতে মিশিয়ে গোসল করুন। শরীর বেশ ঝরঝরে থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top