সকল মেনু

জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষক, বঙ্গবন্ধুও তা মানতেন: তারেক রহমান

লন্ডন, ২৬ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষকই ছিলেন না তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান। এটাই সত্য, আর এটাই ইতিহাস। জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এনিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। শেখ মুজিবও এনিয়ে বিতর্ক করেননি, বরং শেখ মুজিবকে বিতর্কিত করেছে আওয়ামী লীগ।

‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক  আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ।

তারেক রহমান বলেন, “৭ মার্চ কিংবা ২৫ মার্চ কোনো তারিখেই শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। এমনকি তার দেয়ার ইচ্ছেও ছিল না। যদিও স্বাধীনতাকামী জনগণ তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুখে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে চেয়েছিলো, কিন্তু তারা জনগণের মনের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে জিয়াউর রহমান সফল। সেদিন সাত কোটি বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।”

তারেক রহমান তার ৩৬ মিনিটের বক্তৃতায় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য ও দলিল উপস্থাপন করে বলেন, “৭ই মার্চ কিংবা ২৫ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পক্ষে একটি প্রমাণও আওয়ামী লীগ উপস্থাপন করতে পারেনি।”

তারেক রহমান ৭১ সালের ৮ মার্চে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের রিপোর্টের একটি কপি দেখিয়ে বলেন, “ভাষণটি স্বাধীনতা ঘোষণা হলে পত্রিকায় প্রকাশিত হলো না কেন?  আসলে বাস্তবতা হলো ৭ মার্চের ভাষণের পরও শেখ মুজিব তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১৩, ১৭, ১৯,২০,২১, ২৩ এবং ২৪ মার্চ পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এমনকি বৈঠকে ৪ দফা চুক্তিতেও উপনীত হয়েছিলেন। ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হলে, এ ধরনের বৈঠক হতে পারে না। আসলে শেখ মুজিবের কোনো যুদ্ধ পরিকল্পনা ছিল না।”

তারেক বলেন, “যারা দাবি করেন শেখ মুজিব ২৫ মার্চে স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র চট্টগ্রামে পাঠিয়েছিলেন সেটিরও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।”

তিনি ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত পত্রিকার একটি কপি দেখিয়ে বলেন, “২৫ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হলে পত্রিকায় সেটি প্রকাশিত হলো না কেন? অথচ একই পত্রিকায় শেখ মুজিবের সারা বাংলায় অবরোধের ডাক সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল।”

তারেক রহমান আরো প্রশ্ন করেন, “শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে পূর্ববাংলায় অবরোধ ডাকলেন কার বিরুদ্ধে।”

তিনি বলেন, “মিথ্যাচার কিংবা ইতিহাস বিকৃতি নয়, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এসব প্রশ্নের জবাব এখন সময়ের দাবি।”

তারেক রহমান বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতিটি নেতাকর্মীদের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, “৬ দফা অন্দোলনে শেখ মুজিব ভুমিকা রেখেছিলেন এ নিয়ে কেউ বিতর্ক করছে না। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার কোনো যুদ্ধ পরিকল্পনাও ছিল না।

সভায় আরো বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার এম কায়সার কামাল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, ইউরোপভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন সিটিজেন মুভমেন্টের আহবায়ক এম এ মালেক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ব্যারিস্টার এম এ সালাম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রফেসর ড. মুজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে তারেক রহমান যুক্তরাজ্য জাসাস নির্মিত একটি ওয়েসাইট উদ্বোধন করেন। এই ওয়েবসাইটে মুক্তিযুদ্ধে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top