সকল মেনু

জাতি প্রস্তুত, চলছে ক্ষণগণনা

ঢাকা, ২৫ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ২৬ মার্চ ৪৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার আয়োজন শুধু ইতিহাস কিংবা রেকর্ড গড়ার জন্য নয়। এই আয়োজনের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। যেখানে ঘটবে জাতীয় চেতনার উন্মেষ। এজন্য প্রস্তুত সমগ্র জাতি। শুরু হয়েছে ক্ষণগণনা।

‘২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা আর গর্বের একটি দিন। এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩ লাখ মানুষ একসঙ্গে গাইবেন জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।’ শুধু প্যারেড গ্রাউন্ডে যারা উপস্থিত থাকবেন তারাই নন, সারা জাতি একই সময়ে একই সুরে অংশ নেবেন মহতী উদ্যোগে। বাদ যাবেন না আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা কেউই।’

লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার আয়োজন নিয়ে এভাবেই নিজের আবেগ আর অনুভূতি ব্যক্ত করলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। মঙ্গলবার মন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশবাসী জানেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পাননি নারী-শিশুও। নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও। সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াস হিসেবেই জাতীয় সংগীত গাওয়ার এই আয়োজন।’

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে যখন এই পরিকল্পনার কথা বলেন, তখন আমরা অনেকেই বলেছিলাম, লাখো মানুষের জমায়েত করে জাতীয় সংগীত গাওয়া কি এতই জরুরি? এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেন, এতে আমাদের ঐতিহ্য আরো সমৃদ্ধ হবে। মজবুত হবে জাতীয় চেতনা। তৈরি হবে দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের আগ্রহ। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান ঘিরে ইতিমধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুশীলন সম্পন্ন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রীবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ অনুশীলন করেছেন। এই আয়োজনের সঙ্গে একাত্ম হতে কারখানার শ্রমিক, দিনমজুরসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এসেছেন এগিয়ে। বাদ যাচ্ছেন না সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, আমলা কেউই। সর্বস্তরের মানুষের এই যে আগ্রহ, এই যে আবেগ- এটাই আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা।’

সংস্কৃতিমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক করে আরো বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় যদি ১০০ জনের মধ্যে পাঁচজনও না সুর না মেলান, তাহলেও সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। এজন্য সবাইকেই উচ্চ স্বরে গাইতে হবে। কারণ জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় ইউনেসকো থেকে পাঠানো প্রতিনিধিদল আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে। তাই উদ্যোক্তাদের নির্দেশনা সঠিকভাবে সবাইকে পালন করতে হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top