সকল মেনু

মে থেকে আসছে ফোর-জি!

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক, ২৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : আগামী মে মাস থেকে চালু হতে যাচ্ছে লং টার্ম ইভ্যুলুশন এলটিই সেবা। দেশের ওয়াইম্যাঙ্ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মোবাইল অপারেটররাও আসছে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চতুর্থ প্রজন্মের এই ইন্টারনেট সেবা চালু করবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস। কিন্তু একই সময়ে লাইসেন্স না পাওয়া এবং তরঙ্গ বরাদ্দ ও দেশজুড়ে থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং নীতিমালার মারপ্যাঁচে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারছেন না মোবাইল অপারেটররা। তাদের ভাষ্য, এখন থ্রিজি সেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়েই তারা মনোযোগ দিচ্ছেন।

এদিকে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা চালু করতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন, কিউবি এবং বাংলাদেশ ইন্টারনেট এঙ্চেঞ্জ লি.-এর (বিআইইএল) অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার। এপ্রিল নগাদ এসব প্রতিষ্ঠান অফিসিয়ালি নিজেদের নেটওয়ার্কের কার্যক্রম পরীক্ষা করবে এরপরই গ্রাহকদের জন্য এলটিই সেবা চালু করতে যাচ্ছে ওয়াইম্যাঙ্ প্রতিষ্ঠান তিনটি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ফোরজি সেবা চালু করার জন্য ২০০৮ সালের নিলামে নয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটি (বাংলালায়ন, কিউবি, বাংলাদেশ ইন্টারনেট এঙ্চেঞ্জ লিমিটেড (বিআইইএল), ম্যাংগো এবং রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানি (বিটিসিএল) প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। লাইসেন্স বাবদ এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুনতে হচ্ছে ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলালায়ন ও কিউবি লাইসেন্স নেয় এবং ম্যাংগো ছাড়া বাকি সবাই আর্নেস্ট মানি তুলে নেয়। আগের নিলামের ওপর ভিত্তি করেই ম্যাংগোকে এলটিই লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। গত অক্টোবর মাসে বিডব্লিউএ গাইডলাইন সংশোধনের বিষয়টি প্রকাশ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

সূত্র আরও জানায়, ইতোমধ্যে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান মাল্টিনেটের মালিকানাধীন বিআইইএলকে ২৪৬ কোটি টাকা দিয়ে এলটিই লাইসেন্স ও দুই হাজার ৬০০ ব্যান্ডে তরঙ্গ বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়। তবে নীতিমালা অনুযায়ী এই অপারেটর কেবল ডেটা সার্ভিস দিতে পারবে, কোনোভাবেই ভয়েস সার্ভিস দিতে পারবে না।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে বিটিসিএল এলটিই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা দেবে। আর লাইসেন্স বা তরঙ্গ ফি ওই প্রকল্প থেকেই দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে গত বছরের অক্টোবরে থ্রিজি (থার্ড জেনারেশন) মোবাইল ফোন সেবা চালু করা হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে এ সেবা চালু করা হয়। এতে প্রযুক্তিগত সহায়তা করেছে চীন। পরবর্তীতে ৮ সেপ্টেম্বর নিলামের মধ্য দিয়ে থ্রিজি অপারেশনের সুযোগ পায় চার বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল। থ্রিজির নীতিমালা অনুযায়ী অপারেটররা ১৫ বছরের জন্য লাইসেন্স পায়। চলতি বছরের মধ্যেই সারা দেশে থ্রিজি সেবা পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top