সকল মেনু

চতুর্থ ধাপের ভোট চলছে

ঢাকা, ২৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : উপজেলা নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে ৪৩ জেলার ৯১টি উপজেলায় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সরকারি ছুটি চলছে। এবারই প্রথম ধাপে ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে । সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চতুর্থ ধাপে এসে আরো সতর্ক হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সহিংসতা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইসির পক্ষ থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৩ ও ৩১ মার্চের ভোট গ্রহণের পরিবেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে ইসির পক্ষ থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশনের উপসচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ।

সেনাবাহিনীর সামনে দৃশ্যমান কোনো সহিংসতা ঘটলে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনা কমিশন।

সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃপক্ষকে ইসি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো প্রকার দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নজরে আসামাত্র সংশ্লিষ্ট সামরিক কর্মকর্তা সিআরপির (দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর-১৮৯৮) ১৩১ ধারা অনুসারে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক সাংবাদিকদের জানান, সশস্ত্র বাহিনীর এ ক্ষমতা বিচারিক ক্ষমতা নয়। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারের আগে থেকে তাদের জন্য যে ক্ষমতা রয়েছে তা শুধু স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতা রোধে সেনাবাহিনী এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে।

‘এ ছাড়া ভোটের বাক্স ছিনতাই করার চেষ্টা করলে গুলির ব্যবহার করা হবে। কেউ ভোটে কালো হাত বাড়ালে তার কালো হাত গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে’- বলেন আবদুল মোবারক।

চতুর্থ দফার ভোটে এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৯৫৬ জন ও নারী ভোটার ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৩১২ জন।

এ দফায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এক হাজার ১৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৮৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৮৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১২ জন।

এ দফায় মোট ভোটকেন্দ্র পাঁচ হাজার ৮৮২টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৩৮টি। মোট কর্মকর্তার সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৮৯৬ জন।

চতুর্থ দফায় ৯২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হলেও পরে ঢাকার ধামরাইকে এর সঙ্গে যোগ করা হয়। এ ছাড়া শেরপুর সদর এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচনে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top