সকল মেনু

মোবাইল চুরিতে পথ শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে

ঢাকা, ২২ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : পথ শিশুরা নানা কায়দায় পথচারীদের মোবাইল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে। পথ শিশুদের দিয়ে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজ করিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা।

গত শুক্রবার তারই একটি চিত্র দেখা গেল সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানে। দেখা গেল উদ্যানের ভিতর দিয়ে একজন তরুনী হাতে ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে একটি ছোট ছেলে মেয়েটির সামনে এসে পড়ে যাওয়ার ভান করল। আরেকটি ছেলে যে মেয়েটির পাশে পাশে হাঁটছিল, সেই ছেলেটি সেই মেয়েটির ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে ভোঁ-দৌড় দিল।

অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে যে পথচারীরর সামনে পড়ে গিয়ে অভিনয় করার বিষয়টি আসলে প্রশিক্ষণের অংশ। যিনি এই পথ শিশুদের এই ধরনের অভিনয় করে মোবাইল চুরি করার বিষয়টি শিক্ষা দিয়েছেন তার নাম শহিদুল। শহিদুল একজন নামকরা মোবাইল ছিনতাইকারী। শহিদুল ছাড়াও বেশ কয়েকটি গ্রুপ আছে যারা পথ শিশুদের মোবাইল চুরি করার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যেসব পথ শিশুরা এই ধরনের কাজ করতে অনিহা প্রকাশ করে তাদেরকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই তিন পথ শিশুকে গ্রেপ্তার করার পর এইসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসে। আটক পথ শিশুরা জানায় যে রাজধানীর চাঁনখারপুলের ইব্রাহিম নামের একজন পকেটমার কয়েক মাস ধরে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তবে কাজের প্রথম দিনেই সেই তিন পথ শিশু ধরা খেয়ে যায়। কাজের সময় তাদের ও¯ত্মাদ ইব্রাহিমও তাদের পাশে ছিল, কিšত্ম যেই পুলিশ সেই পথ শিশুদের গ্রেপ্তার করে, ইব্রাহিম ওমনি চম্পট দেয়।

আটক শিশুদের মধ্যে একজন জানায় যে আগে সে দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চকোলেট বিক্রি করত ও রাতে সেখানেই ঘুমাতো। এক দিন হঠাৎ করে ইব্রাহিম নামের সেই পকেটমার এসে তাকে এই ধরনের কাজ করতে জোর করে। শিশুট প্রথমে এই কাজ করতে অস্বিকার করলে ইব্রাহিম তাকে মারধর করে।

একপর্যায়ে শিশুটি জানায় সে তার বয়সের অন্যান্য ২৫টি শিশুর সাথে এই প্রশিক্ষণ নেয়। আর এই ধরনের কাজে সফল হলে ও¯ত্মাদ মাথাপিছু ১০০ টাকা করে দিত।

পরবর্তীতে আটক তিন পথ শিশুকে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে হ¯ত্মাšত্মর করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় অপরাজেয় বাংলাদেশ এর লালবাগ সেফ হোমে সেই তিন শিশুকে রাখা হয়েছে। অপরাজেয় বাংলাদেশের কর্মকর্তা শামিমা আখতার বলেন, ‘এই তিন শিশুকে আমাদের তত্ত্ববধানে রাখা হয়েছে। আমরা এই তিন শিশুর মা-বাবার খোঁজ করছি। খোঁজ পাওয়া গেলে তাদের হত্মাত্মর করা হবে। তবে পুলিশ যদি একটু তৎপর হয় তাহলে পথ শিশুদের এই ধরনের অপরাধমূলক কাজ থেকে দূরে রাখা যায়।’

এই বিষয়ে ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, মাঝে মাঝে বিভিন্ন অপরাধের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকে। কিত্ম বয়স বিবেচনা করে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়। তবে যারা পথ শিশুদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা ট্রিবিউন, (আ:সময়.কম)

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top