সকল মেনু

আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ সুপেয় পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত

ঢাকা, ২২ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) :  বাংলাদেশের আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ সুপেয় পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত। আর বিশ্বে এ সংখ্যা ৭৬ কোটিরও বেশি।

এছাড়া সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে বিশ্বে প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৪০০ শিশুর মৃত্যু ঘটছে।  

বিশ্ব পানি দিবসের প্রাক্কালে জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে।

আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে-পানি এবং জ্বালানি। জ্বালানি খাতে বিশেষ করে বিদ্যুত্ উত্পাদনে প্রচুর পরিমাণ পানি ব্যবহার হয়ে থাকে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ খাতে পানি ব্যবহার করা প্রয়োজন।

দিবসটির প্রাক্কালে ইউনিসেফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সুপেয় পানির প্রাপ্তির সুযোগকে একটি মানবাধিকার ঘোষণা করার পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও ৭৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ এই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নিরাপদ পানির অধিকারবঞ্চিত এই বিপুল সংখ্যক মানুষের অধিকাংশই দরিদ্র। তারা হয় প্রত্যন্ত এলাকা অথবা শহুরে বস্তির বাসিন্দা।

ফলে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে হাজারো শিশুর মৃত্যু ঘটছে।

ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে সুপেয় পানির সুযোগবঞ্চিত জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে সপ্তম। আর এই তালিকার শীর্ষে থাকা দশটি দেশেই বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের বাস।

ইউনিসেফ বলছে, চীনের ১০ কোটি ৮০ লাখ; ভারতের ৯ কোটি ৯০ লাখ; নাইজেরিয়ায় ৬ কোটি ৩০ লাখ; ইথিওপিয়ায় ৪ কোটি ৩০ লাখ; ইন্দোনেশিয়ায় ৩ কোটি ৯০ লাখ; ডি আর কঙ্গোয় ৩ কোটি ৭০ লাখ; বাংলাদেশে ২ কোটি ৬০ লাখ; তানজানিয়ায় ২ কোটি ২০ লাখ; কেনিয়ায় ১ কোটি ৬০ লাখ এবং পাকিস্তানে ১ কোটি ৬০ লাখ সুপেয় পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত।

ইউনিসেফের পানি, পয়নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রধান সঞ্জয় ভিজেসেকেরা বলেন, “ধনী হোক বা দরিদ্র, প্রতিটি শিশুরই বেঁচে থাকার অধিকার, সুস্বাস্থ্যের অধিকার এবং একটি সুন্দর ভবিষ্যত পাওয়ার অধিকার আছে।”

প্রতিটি নারী, পুরুষ ও শিশু যতক্ষণ এই সুবিধা না পাচ্ছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত সবাইকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আর সুপেয় পানির অভাবে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয় কন্যা শিশু ও নারীদের। সুপেয় পানি সংগ্রহের ৭১ শতাংশ কাজ তাদেরই করতে হয়।

১৯৯৩ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনে ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক পানি দিবস পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

প্রতি বছরের মত এবারও বাংলাদেশসহ নিরাপদ পানির দাবিতে পৃথিবী জুড়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। পানি দিবসের লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপদ পানি, পানি সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন ইত্যাদি সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সচেতন করে তোলা। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হিসাবে খ্যাত হলেও আজো দেশের সব মানুষের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং কৃষিসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top