সকল মেনু

জল ও স্থলে অনুসন্ধানে ২৫ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ১৭ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে ১০ দিন নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানটির অনুসন্ধানে ২৫টি দেশ যুক্ত হয়েছে। তারা মধ্য এশিয়া থেকে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার জল ও স্থলসীমায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হোসেন জানান, বিমানটিকে খুঁজে বের করার জন্য যে ব্যাপক তল্লাশি চলছে, তাতে ২৫টি দেশ শামিল হয়েছে।

ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটির যোগাযোগ সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া এবং নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর সাত ঘণ্টা বিমানটি আকাশে উড়ে থাকার তথ্য উদ্‌ঘাটিত হওয়ার পর অনুসন্ধান অভিযানে ‘নতুন অধ্যায়ের’ সূচনা হয়েছে।

বিমানটির সম্ভাব্য গতিপথ বিবেচনা করে মালয়েশিয়া এখন মধ্য এশিয়া থেকে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এত দিন শুধু জলভাগে অনুসন্ধান চালানো হলেও এখন জল এবং স্থলে অনুসন্ধান চলছে। এ অনুসন্ধানে এখনো পর্যন্ত ৪৩টি জাহাজ এবং ৫৮টি উড়োজাহাজ নিযুক্ত করা হয়েছে।

পরিবহনমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হোসেন বলেন, অনুসন্ধান অভিযান উপকূল এলাকা থেকে এখন ১১টি দেশের স্থল, প্রত্যন্ত এলাকা এবং গভীর জলসীমায় বিস্তৃত করা হয়েছে। অনুসন্ধানকারীরা আরো বেশি রাডার এবং স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করছেন।

মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা এখন কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
এসব দেশকে বিমান, স্যাটেলাইটে ধারণ করা তথ্য, জল-স্থল এবং আকাশ থেকে অনুসন্ধান উপযোগী সরঞ্জাম নিয়ে সহযোগিতা করার জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ১৭ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : এদিকে, মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান খালিদ আবু বকর বিমানের সব যাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে অনুরোধ করেছেন। তবে এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধান করলেও এখনো পর্যন্ত সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, পুলিশ বিমানের দুজন পাইলটের পারিবারিক জীবন এবং মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখছে। পাইলট জাহিরি সালেহ এবং কো-পাইলট ফরিদ আবদুল হামিদের কুয়ালালামপুরের বাসায় গিয়ে পুলিশ তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছে।

পাইলট ছাড়াও বিমানের ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্য স্টাফদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক রোববার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্যাটেলাইট এবং রাডারের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলে পৌঁছানোর পর ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটির যোগাযোগ সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরবর্তী সাত ঘণ্টা বিমানটি আকাশে উড়ে থাকতে পারে।

বিমানটি ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কার প্রশ্নে নাজিব রাজাক কোনো মন্তব্য না করে বলেন, ‘সব সম্ভাবনা’র বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাত ঘণ্টা পর এ বিমানের সিগন্যাল একটি স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে। যদিও স্যাটেলাইটটি বিমানটির অবস্থান সম্পর্কে যথার্থ তথ্য দিতে পারেনি।

মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী আহমেদ জোওহারি জানান, বিমানটিতে ১৪টি দেশের নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ১৫২ জন চীনা, ৩৮ জন মালয়েশীয়, ১২ জন ইন্দোনেশীয় এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।

গত ৭ মার্চ মালয়েশিয়ার সময় রাত পৌনে ১টার দিকে বোয়িং-৭৭৭ বিমানটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে বেইজিংয়ের উদ্দেশে কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রা করে। এর এক ঘণ্টা পর ভিয়েতনামের আকাশসীমায় বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

তখন বিমানটি ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থান করছিল।

সূত্র : বিবিসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top