সকল মেনু

বিদ্যা সিনহা মীমের নতুন লক্ষ্য

বিনোদন প্রতিবেদক, ১৭ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : বর্তমানের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম। ২০০৮ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ দিয়ে মীমের প্রথম ছবির হাতেখড়ি। প্রথম ছবিতেই দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন তাঁর অভিনয় শৈলীর মাধ্যমে। এবং এর স্বীকৃতি হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচকদের রায়ে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারটিও জিতে নিয়েছিলেন মীম। এর পরের বছর মুক্তি পেয়েছিল মীম অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’।জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত বাণিজ্যিক ধাঁচের ছবিটিতেও প্রশংসা কুড়ান মীম। ছবিতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন শাকিব খান। পরপর দুটি সফল ছবি উপহার দিয়ে ঢালিউডের দর্শকদের হূদয়ে নিজের একটি পোক্ত স্থান করে নেন মীম।

তবে গত কয়েক বছরে মীম অভিনীত আর কোনো নতুন ছবি মুক্তি পায়নি। সকল কল্পনা জল্পনা শেষে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর ‘জোনাকীর আলো’ ছবিটি। ছবিটির পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু। এ ছাড়া সম্প্রতি মোস্তফা কামাল রাজের ‘তাঁরকাটা’ ছবির শুটিঙের কাজ শেষ করেছেন মীম। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে ছবির কাজেই বেশি মনোযোগী হতে চান। পাশাপাশি ভালো গল্প ও চিত্রনাট্যের নাটকেও অভিনয় চালিয়ে যাবেন। চলচ্চিত্র, সাম্প্রতিক কাজ, ব্যক্তিগত খবরাখবরসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেত্রী।

চলচ্চিত্রে মীম…

এখন আমার লক্ষ্য চলচ্চিত্র। কারণ ঢালিউডে এখন বইছে সুবাতাস। অনেক দর্শক হলমুখী হচ্ছেন। তাই এই ভালো সময়টা কাজে লাগাতে চাই। অনেকগুলো চলচ্চিত্রের প্রস্তাব হাতে আছে। সেখান থেকে বাছাই করে সব চাইতে সেরা চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই।

‘জোনাকীর আলো’ নিয়ে প্রত্যাশা…

এটা বাণিজ্যিক ধাঁচের কোনো চলচ্চিত্র নয়। ছবির পুরো গল্পে রয়েছে অনেক প্রেম-ভালোবাসা। আশা করছি, ছবিটি দর্শকদের হূদয় ছুঁয়ে যাবে।

‘জোনাকীর আলো’র শুটিংয়ে স্মরণীয় ঘটনা…

এই ছবির শুটিং করতে গিয়ে এক অর্থে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। ছবির কিছু অংশের কাজ আমরা সেন্ট মার্টিনে করেছিলাম। সেন্ট মার্টিন থেকে একটু দূরে শুটিং ইউনিটের সবাই মিলে তাঁবু টাঙিয়ে ছিলাম। হঠাৎ একদিন নিম্নচাপের খবর এল। ৫ নম্বর বিপত্সংকেত। আমাদের বিছানা পানিতে পুরো ভিজে গিয়েছিল। আমার দুটি মোবাইল ফোন পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেল। একটু পর খবর এল, বিপত্সংকেত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারপর সবাই সিদ্ধান্ত নিলেন স্টিমারে করে কক্সবাজার চলে যেতে হবে। আমি তো রীতিমতো ভয়ে অস্থির। সঙ্গে আম্মুও ছিল। অনেক ভয়, আশঙ্কা ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা কক্সবাজার পৌঁছাতে পেরেছিলাম।

বর্তমান কাজ…

কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ করছি। সম্প্রতি মোস্তফা কামাল রাজের ‘তাঁরকাটা’ ছবির শুটিঙের কাজ শেষ করেছি।
কেমন হলো ‘তাঁরকাটা’র শুটিং?
অনেক ভালো হয়েছে। আমি অনেক আত্মতৃপ্তি পেয়েছি ছবিটিতে কাজ করে। এখানে দর্শকেরা আমাকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখবেন বলেই আমার ধারণা। সব মিলিয়ে ‘তাঁরকাটা’ নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী।

সুপারস্টার মীম…

একঘেয়ে কোনো কাজ করতে চাই না। ভিন্ন রকম চরিত্রে ভালো কাজ করে যেতে চাই।

অভিনেত্রী নাকি নায়িকা, কোন পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

আসলে একটা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রটাই তো নায়িকা। আর সব রকম গল্পের চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে কাজ করার দক্ষতাই ভালো অভিনেত্রীর পরিচয় বহন করে। তাই দুটি পরিচয়ই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

অভিনেত্রী না হলে কী হতেন?

চিকিত্সক হতাম। মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে পারলে আমার ভালো লাগত। তবে এখনো আমি সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করি।

নাটকে অনিয়মিত হওয়ার কারণ…

ভালো গল্প ও চিত্রনাট্য পাচ্ছি না। যেসব কাজের প্রস্তাব আসে আমার কাছে মনে হয় ওই গল্পের কাজ আমার কোনো না কোনোভাবে করা হয়ে গেছে। নতুনত্ব কিছু পাই না। সব গল্প একই মনে হয়। তাই নাটকে নিয়মিত হচ্ছি না। তবে বিশেষ কোনো দিবস উপলক্ষে ভালো গল্পের নাটক নির্মাণ হলে অবশ্যই আমি কাজ করব।

মীম সম্পর্কে যা কেউ জানে না…

আমি খুব নরম মনের অধিকারী। কেউ আমার সঙ্গে গুরুতর অন্যায় করার পরও আমার কাছে মাফ চাইলে আমি সবকিছু ভুলে গিয়ে মাফ করে দিই।

মীমের পড়ালেখা…

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে বাংলা সাহিত্যে অনার্স পড়ছি। এখন সেভেন সেমিস্টার চলছে।

প্রিয় বন্ধু…

মনীষা, অর্নি, বুশরা।

প্রিয় রং…

বেগুনি ও গোলাপি।

প্রথম পড়া উপন্যাস…

জহির রায়হানের ‘হাজার বছর ধরে’।

অবসর কীভাবে কাটে?

গল্পের বই পড়ি, পরিবারকে সময় দিই, বাইরে ঘুরতে যাই আর অনেক ছবি দেখি।
সূত্রঃ প্রথম-আলো

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top