সকল মেনু

বাংলাদেশ জিতলে দক্ষিণ এশিয়া জিতবে: মজিনা

ঢাকা, ১৬ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা বলেছেন, গণতান্ত্রিক উন্নয়নে বাংলাদেশ বিজয়ী হলে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার বিজয় হবে, আর দক্ষিণ এশিয়ার বিজয় হলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের বিজয় হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর কৌশলগত স্বার্থ জড়িত। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব এখন বার্মার ঘাড়ে। যুক্তরাষ্ট্র ড. ইউনুসের দর্শনে গভীরভাবে বিশ্বাস করে।

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলী এবং কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং কর্তৃক বাংলাদেশী আমেরিকান নাগরিকদের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক টাউন হল মিটিংয়ে এসব কথা বলেন।

মজিনা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পার্টনারশীপ ডায়ালগ শুরুর পর থেকে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন অধিকতর শক্তিশালী। বাংলাদেশ একটি ক্ষুদ্র দরিদ্র দেশ বলে এতদিন আপনারা যা জেনে এসেছেন, তা এই মুহুর্তে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আমি গর্ব ভরে বাংলাদেশকে এশিয়ার টাইগার বলে উল্লেখ করি।

বাংলাদেশের সর্বত্র নিজের অবিরাম ছুটে চলার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মতো এমন পরিশ্রমী, সৃষ্টিশীল মানুষ বিশ্বে বিরল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের মানুষের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের স্বপ্ন সফল হবে।

এর আগে মার্কিন কংগ্রেসে (নিউইয়র্ক-৬) থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, মার্কিন সমাজে আমার নির্বাচনী এলাকার বাংলাদেশী আমেরিকানদের অসামান্য অবদান ও অর্জনের বিষয়ে আমি গর্ব বোধ করি।

নিজের নির্বাচনী এলাকার জনগনের উদ্দেশ্যে গৃহীত তাঁর বিভিন্ন কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন , বাংলাদেশের গর্বের ইতিহাস ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে জাতিসংঘ গৃহীত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যুক্তরাষ্ট্রে সরকারিভাবে পালনের জন্য আমি ইতিমধ্যেই কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন করেছি।

অনুষ্ঠানের অপর আয়োজক মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ও নিউইয়র্ক থেকে অষ্টমবারের মতো নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলী অন্য ব্যস্ততার জন্য অনুপস্থিত থাকলেও তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে বক্তৃতা করেন কংগ্রেসম্যানের কুইন্স অফিসের পরিচালক ভিজে চৌধুরী। এদিকে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে উপস্থিত বাংলাদেশী আমেরিকানদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মজিনা।

বাংলাদেশের বিগত ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচনের পরদিন ৬ জানুয়ারি প্রদত্ত স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়া এবং পরবর্তীতে ১১ই ফেব্রুয়ারী সিনেট কমিটিতে এসিসটেন্ট সেক্রেটারী নিশা দেশাই বিশালের প্রদত্ত টেস্টিমনিতে প্রদত্ত বক্তব্যই এখনো বহাল আছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অত্যন্ত পরিস্কার।

বাংলাদেশে বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন অতীতের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী।

যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিফেন র‌্যাফ এ পর্যন্ত ৫ বার বাংলাদেশ সফর করে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা বারবারই বলে এসেছি, যুক্তরাষ্ট্র যে কোন অপরাধের বিচারের পক্ষে, কিন্তু তা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের ভিতর থেকে।

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কিভাবে সাহায্য করতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে ড্যান মজিনা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব এখন বার্মার হাতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top