সকল মেনু

গ্রাহক বাড়লে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে থ্রিজি সেবার দাম কমবে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক, ১৬ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে থ্রিজি ট্যারিফ বেশি হলেও তা প্রতিযোগিতামূলক। তবে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে থ্রিজি সেবার দাম স্বাভাবিকভাবে কমে আসবে। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশেুাত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির এমপি এ কে এম মাইদুল ইসলামের প্রশেুর জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

একই এমপির আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) থেকে কোন লাইসেন্স না নিলেও গ্রামীন ফোন লিমিটেডে প্রতিষ্ঠানটির ৩৪ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি গ্রামীণ ফোন লিমিটেডকে থ্রিজি লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তার করছে। দেশব্যাপী এই নেটওয়ার্ক বিস্তার সম্পন্ন হলে এবং গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে থ্রিজি সেবার দাম স্বাভাবিকভাবে কমে আসবে। এছাড়া থ্রিজি সার্ভিসের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে তার মূল্য কত হওয়া উচিত বা অতি উচ্চমূল্য কী না তা নির্ধারণ করার জন্য কষ্ট মডেলিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৭১ লাখ ৯ হাজার ৬৪০। গ্রামীণ ফোনের গড় কলরেট ৭০ পয়সা। অন্যান্য টেলিফোন কোম্পানির এ কলরেট হচ্ছে সিটিসেল ৭৮ পয়সা, এয়ারটেল ৭১ পয়সা, টেলিটক ৬৮ পয়সা, রবি ৭৭ পয়সা এবং বাংলালিংক ৭৮ পয়সা।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবৈধ ভিওআইপি বন্ধের লক্ষ্যে বিভিন্ন কারিগরি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সব আইজিডব্লিউ ও আইসিএক্স অপারেটরকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে সব অপারেটরকে মনিটরিং এর আওতায় আনার লক্ষ্যে বিটিআরসি’তে একটি মনিটরিং সিষ্টেম স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের উপজেলাগুলোতে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১২১টি উপজেলা বিটিসিএল-এর অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের আওতায় রয়েছে। এছাড়া টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৮টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া আরো ২৯০টি উপজেলায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

শেখ নুরুল হকের প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, নতুন ডাকঘর খোলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই সরকারের গত মেয়াদে নতুন কোন ডাকঘর খোলা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top