সকল মেনু

নিখোঁজ বিমানকে ঘিরে রহস্য আরো ঘনীভূত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ১৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ইতিমধ্যেই বিমানযাত্রার ইতিহাসে জটিলতম রহস্যগুলির মধ্যে গণ্য হচ্ছে মালয়েশীয় বিমানটির নিখোঁজ হয়ে যাওয়া৷ শনিবার যাবৎ খোঁজ চলেছে – আপাতত ১২টি দেশের ৪২টি জাহাজ ও ৩৯টি বিমান সেই খোঁজ চালাচ্ছে হাঙ্গেরির আয়তনের একটি এলাকা জুড়ে৷ চীনের মতো দেশ যে তার স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির অন্তত অস্পষ্ট সংস্করণটি প্রকাশ করেছে, সেটাই মার্কিন বিশেষজ্ঞদের কাছে পরমাশ্চর্য৷ তবে নিখোঁজ বিমানটির যাত্রীদের অধিকাংশই চীনা নাগরিক; সেটা একটা কারণ হতে পারে৷

এমএইচ৩৭০ নাকি মোট পাঁচ ঘণ্টা ধরে ওড়ে, এমন প্রমাণ আছে৷ বোয়িং ৭৭৭-টির ইঞ্জিন একটি স্ট্যান্ডার্ড মনিটরিং প্রোগ্রামের অঙ্গ হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে ডাটা ডাউনলোড করে ভূপৃষ্ঠে পাঠায়, তা থেকেই নাকি এটা জানা গেছে, বলে জানিয়েছেন মার্কিন তদন্তকারীরা৷ ঐ বাড়তি চার ঘণ্টায় বিমানটি আরো সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার উড়তে পারতো – অর্থাৎ পাকিস্তান কিংবা মঙ্গোলিয়া পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছতে পারতো! বোয়িং বিমানটির রোল্স রয়েস ট্রেন্ট ইঞ্জিনগুলি নাকি উধাও হবার সময় থেকেই মনিটরিং সিগনাল পাঠানো বন্ধ করে, ইতিপূর্বে বলেছে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স৷ রোল্স রয়েস-এর তরফ থেকে এ নিয়ে এ যাবৎ কোনো মন্তব্য করা হয়নি৷

ট্রান্সপন্ডার বনাম স্যাটেলাইট?

ওদিকে চীন সরকারের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়েছে যে, তাদের একটি স্যাটেলাইট রবিবার দক্ষিণ চীন সাগরে তিনটি ‘‘সন্দেহজনক ভাসমান বস্তুর” ছবি তুলেছে৷ স্থানটি মালয়েশীয় বিমানটি যেখান থেকে উধাও হয়, তার কাছেই৷ কিন্তু ভিয়েতনামী ও মালয়েশীয় বিমান অঞ্চলটি বারংবার ঘুরে দেখেও নিখোঁজ বিমানের কোনো হদিশ পায়নি৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ দপ্তরের কর্মকর্তারা এ সম্ভাবনাও বিচার করে দেখছেন যে, বিমানটির পাইলট অথবা অন্য কোনো আরোহী প্লেনটিকে পরিকল্পিতভাবে অন্য কোনো গন্তব্য অভিমুখে নিয়ে গেছে – এবং দিক পরিবর্তনের আগে বিমানের ট্রান্সপন্ডারগুলি জেনেশুনে বন্ধ করে দিয়েছে, যা-তে রাডারে এ সব গতিবিধি ধরা না পড়ে৷ মার্কিন ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ পত্রিকা সংশ্লিষ্ট এক তদন্তকারীর সূত্রে এ কথা জানিয়েছে৷
[তল্লাশির এক পর্যায়ে বিমান থেকে সাগরের দিকে নজর রাখছেন ভিয়েতনামের এক সামরিক কর্মকর্তা]

তল্লাশির এক পর্যায়ে বিমান থেকে সাগরের দিকে নজর রাখছেন ভিয়েতনামের এক সামরিক কর্মকর্তা

মালয়েশীয় সামরিক কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে বিমানটি মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলে রাডারে ধরা পড়ার যে খবর দিয়েছিল – এবং পরে অস্বীকার করেছিল – তা অনুযায়ী বিমানটি প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে উড়ে থাই উপসাগরের ঐ অঞ্চলে পৌঁছায়: শুধুমাত্র ৫,০০০ ফিট উচ্চতা হারিয়ে৷ এর অর্থ, বিমানটি তার আদত যাত্রাপথ থেকে হঠাৎ পশ্চিমমুখে মোড় নিয়ে থাই উপসাগর থেকে আন্দামান সাগর অবধি উড়ে যায়৷

মোট কথা, কোনো তত্ত্বই পুরোপুরি বাদ দেওয়া যাচ্ছে না: বিমানটি রাডার থেকে উধাও হওয়ার সময়েই দুর্ঘটনায় পতিত হয়; অথবা অন্তত আন্দামান সাগর অবধি যাত্রা করে; অথবা তার গন্তব্য আরো দূরে, আরো রহস্যময় কোথাও৷

৮ই মার্চ, ২০১৪৷ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে হারিয়ে যায়৷ এখনো সেই বিমানের হদিশ মেলেনি৷

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top