নতুন কোন সম্পর্কে জড়ানো মানে এই না যে পুরোন সম্পর্কগুলোর দরকার আর আপনার হবে না। বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু- সবার জন্যই আপনাকে সময় ভাগ করে নিতে হবে। গিফট কেনার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। হুট করে খুব বেশী খরচ করে ফেলা বা অন্য সবাইকে কম সময় দিয়ে বিশেষ বন্ধুটিকে সবটা সময় দেওয়া- এই ছোট্ট ব্যাপারগুলোই অন্যকে জানিয়ে দিতে পারে আপনার সম্পর্কের কথা।
পরিবারের অন্যদের সাথে রাগের মাথায় কখনোই কথা বলবেননা। ভেবে কথা বলুন। আর বাবা-মা যেটা করতে নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাকুন। অযথা এমন পরিস্থিতি বানানবেন না যাতে আপনাকে আর সবার কাছে অন্যরকম মনে হয়। মুখোমুখি হতে হয় প্রশ্নের।
আপনার বিশেষ বন্ধুটির সাথে মন খুলে কথা বলতেই পারেন। হাত ধরতে পারেন। ছুঁতে পারেন তাকে। কিন্তু সেটারও একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা রাখুন। বিয়ের আগে এতটা দূর না এগোনোই ভালো, যেখানে নিজেকে নিজের কাছেই অসম্মানিত মনে হয়।
আপনার কম্পিউটার আর মোবাইলে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন। দরকার পড়লে আপনার বিশেষ বন্ধুটির নাম বদলে দিন মোবাইল আর কম্পিউটারে।
নিজের সব কথা খুলে বলা যায়, বিশ্বাস করা যায় এমন একজন ভালো বন্ধু বাছাই করুন। প্রেমিকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন তাকে। কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে তার পরামর্শ নিন।
বাসায় সমস্যা হলে বন্ধুর দেওয়া গিফটটি লুকিয়ে রাখুন। আর না রাখতে পারলে এমন কিছু গিফট হিসেবে নিন যেটা বাসার সবার চোখে পড়বেনা। যা আবার সাধারন আর দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসের মধ্যেই পড়ে।
একটা সময় পরিবারের সবাইকেতো জানাতেই হবে। এটা সবসময়ই মাথায় রাখুন। কারণ যত বেশিদিন আপনি সম্পর্কটি লুকিয়ে রাখবেন, তত সেটা কঠিন সমস্যায় পরিণত হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।