সকল মেনু

উন্নয়নের চাবিকাঠি বিদ্যুৎ ও জ্বালানী : অর্থমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ মার্চ  (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত। জ্বালানী শক্তি ব্যবহার করেই উন্নয়নের চাকা ঘুরানো সম্ভব।

অগভীর সাগরের ১১ নম্বর ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক কোম্পানি সান্তোস ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি ক্রিস এর্নাজির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার দুপুরে  পেট্রোবাংলার অডিটোরিয়ামে ওই দুইটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) স্বাক্ষর করে পেট্রোবাংলা।

পিএসসি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানী উত্তোলন শুরু হয় প্রায় দেড়শ’ বছর আগে। এরপর থেকে শিল্প সভ্যতার চেহারাই বদলে যায়। জ্বালানী ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমিও উন্নয়নের মানুষ।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম পিএসসি স্বাক্ষর হয়। ওই অনুষ্ঠানেও আমি ছিলাম। আজকের এই অনুষ্ঠানেও আমি আছি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড, তৌফিক -ই- ইলাহী চৌধুরী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসএস-১১ ব্লকটির মোট আওতা হচ্ছে ৪ হাজার ৪৭৫ বর্গকিলোমিটার।   ব্লকটিতে গভীরতা রয়েছে ১০০ মিটার থেকে ১০০০ মিটার পর্যন্ত। চুক্তিতে এক হাজার ছয় বর্গকিলোমিটার এলাকা ২-ডি সাইসমিক সার্ভে (দ্বিতীয় মাত্রার ভূকম্পন জরিপ) এবং একটি অনুসন্ধান কূপ খননের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। কস্ট রিকভারির পর তেল এবং কনডেনসেটের সর্বনিম্ন ৫৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ ভাগ এবং গ্যাসেও ৫৫ থেকে ৮০ ভাগ পাবে পেট্রোবাংলা। আট বছরের চুক্তির প্রথম পাঁচ বছর প্রাথমিক অনুসন্ধান কার্যক্রম এবং পরবর্তীতে অনুসন্ধানের জন্য তিন বছর সময় থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top