সকল মেনু

জাতীয় নিরাপত্তার পরিধি ও পরিসর বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ মার্চ  (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসামরিক প্রশাসনের সদস্যদের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে প্রতিরক্ষা তথা জাতীয় নিরাপত্তার পরিধি ও পরিসর বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) ও সামরিক বাহিনী কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) ১৫তম যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রচলিত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ধারণার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তি, অর্থনৈতিক, জাতীয় সমৃদ্ধি ও পরিবেশগত নিরাপত্তা জাতীয় নিরাপত্তার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক বাহিনীর সদস্য ছাড়াও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত বেসামরিক প্রশাসনের সদস্যদের জন্য প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও সামরিক বাহিনী কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের দুটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি উন্নত মানসমপন্ন ও যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যে সুপরিচিতি লাভ করেছে। আগামী বছরগুলোতে এই দুই প্রতিষ্ঠান যাতে যুগোপযোগী ও আরো কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অধিকতর সুপরিচিতি লাভ করতে পারে, সেদিকে বোর্ডের সব সদস্যকে সচেষ্ট হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা অর্জনের পিছনে এ প্রতিষ্ঠান দুটির অবদান অপরিসীম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশাবাদী, দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠান দুটি সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং উন্নততর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটি হতে এ পর্যন্ত বন্ধুপ্রতীম ৩৭টি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর অফিসাররা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তীকালে তারা নিজ নিজ দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন- এ কথা জেনে খুশি হয়েছি।

এর মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সমপর্ক আরো জোরদার হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত করে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনে এ ধরনের প্রশিক্ষণের সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং সামরিক বাহিনী কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সকল কমান্ড্যান্ট, প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা অবদান রেখেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন. এ প্রতিষ্ঠান দুটির প্রশাসন বরাবরই তাদের সমপদ, প্রশিক্ষণ উপকরণ, সুযোগ-সুবিধা এবং বরাদ্দকৃত বাজেটের সুষ্ঠু ও সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে সমপন্ন এবং তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই তার সরকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং সামরিক বাহিনী কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের প্রশিক্ষণগত ও আবাসিক প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে অবকাঠামোগত সুবিধা সমপ্রসারণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়।

এর আওতায় ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সমপ্রসারিত বি-টাইপ অফিসার্স আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজ সমপন্ন এবং একটি সি ও ডি টাইপ বহুতল অফিসার্স আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক বাহিনী কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের একটি বহুতল অফিসার্স আবাসিক ভবন নির্মাণ কাজ সমপন্ন হয়েছে এবং একটি বহুতল একাডেমিক ভবন নির্মিত হচ্ছে। অবকাঠামোগত এই সমপ্রসারণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান দুটির সার্বিক মান আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, তিন বাহিনীর প্রধান, সংশ্লিষ্ট সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেসনালসের ভিসি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top