সকল মেনু

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কোনো দিনই নির্বাচন হবে না : তোফায়েল আহমেদ

হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা ১১ মার্চ  : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হুংকার দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এ দেশে আর কোনো দিনই  নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না ।

তোফায়েল আহমেদ বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যদি কোনো বিশৃঙ্খলা করতে চান, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে কঠোর হাতে তা দমন করা হবে। প্লিজ, আর ষড়যন্ত্র করবেন না। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আজ পর্যন্ত কেউ টেকেনি, আপনিও টিকবেন না।’

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, এই প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। তাহলে উপজেলা নির্বাচনে কীভাবে গেলেন? আপনার নীতি-আদর্শ বলে কিছু নেই? সংবিধান মোতাবেক পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন হয়েছে। এই সরকার পাঁচ বছরের জন্যই ক্ষমতায় থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা বলেছেন সংলাপের কথা। আমরাও সংলাপের পক্ষে। তবে, আপনাকে বলে দিতে চাই, বাংলার মাটিতে আর কখনো কোনো দিন  নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন করতে চাইলে নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই করতে হবে।’

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সমালোচনা করে তোফায়েল বলেন, ‘বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে কী কারণে দল থেকে বের করে দিয়েছেন তা কেউ জানে না। তখন তাকে কোথাও কোনো সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। তাকে রাস্তায়ও নামতে দেয়নি। তার মিছিলে মোটরসাইকেল তুলে দেওয়া হয়েছে।’

এমনকি রেললাইনের পাশ দিয়ে তাকে আপনারা দৌড়াতেও দেখেছেন- এমন মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (বদরুদ্দোজা চৌধুরী) এখন আবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে মিশেছেন। তাকে আমি সম্মান করি। এ ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু নেতাদের তো নীতি থাকবে হবে!’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেছি তৎকালীন বিরোধী দলকে নিয়ে নির্বাচন করতে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। কিন্তু, পারিনি। পরে তাদের ছাড়াই নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছি। সরকার গঠন করেছি। সারা বিশ্ব আমাদের সরকারকে গ্রহণ করেছে।’

অনুষ্ঠানে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশে জঙ্গিদের আনতে চায়। এজন্য তিনি জঙ্গিদের লালন করেছেন। এদের প্রতিরোধ করতে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মী বুকে গুলির ভয় পান না, তাদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। কারণ, এটা ভাবলে হবে না, তিনি (খালেদা জিয়া) গালে হাত দিয়ে চুপ করে বসে থাকবেন। সরকারের বয়স দুই মাসও হয়নি, তিনি চুলকানি শুরু করেছেন।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করবেন না বলে বয়কট করেছেন। এখন আবার নিজের ভুল বুঝতে পেরে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আপনার মতো অদূরদর্শী নেত্রী দিয়ে বাংলাদেশ চলবে না, দেশের উন্নয়ন হবে না।’

এর আগে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিজানের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন নগরের সহসভাপতি বজলুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজসহ নগর ও থানা আওয়ামী লীগের নেতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top