সকল মেনু

রংপুরে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সাথে টোল আদায়কারিদের সংঘর্ষ

 রংপুর অফিস: রংপুরে ট্রাক চালককে মারধর করে টোল আদায়ের ঘটনাকে কে›ন্দ্র করে চালক-হেলপারদের সাথে টোল আদায়কারিদের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় টোল আায় বন্ধ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে ট্রাক শ্রমিকরা রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে এলোপাথারি ট্রাক রেখে অবরোধ করে। এতে সড়কের দুধারে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে শ্রমিকরা। তবে দুপক্ষের মধ্যে উত্তজনা বিরাজ করছে। ট্রাক টামিনাল এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার দুপুরে চাঁন মিয়া নামে এক ট্রাক চালক খালি ট্রাক দিয়ে নগরীর বাবুখাঁ এলাকায় ট্রাক টার্মিনালে আসছিলেন। এসময় রংপুর সিটি করপোরেশনের টোল আদায়কারিরা ট্রাকটি থামিয়ে দোল দাবি করে। কিন্তু চালক টোল দিকে অস্বীকার করলে টোল আদায়কারিদের সাথে চালক ও হেলপারের কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে টোল আদায়কারিরা চালক চাঁন মিয়াকে মারধর করে তার মাধা ফাটিয়ে দেয়। এ  খবর ট্রাক টার্মিনালে পৌছলে চালক ও হেলপাররা একজোট হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে টোল আদায়কারিদের ধাওয়া করে। এতে শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে আহত হয় রজব আলী, চান মিয়া, রাজা মিয়া, হাফিজ উদ্দিন, সুলতান মিয়া, মানিক, কাওছার, জামিলসহ ২০ জন।
এসময় উত্তেজিত ট্রাক টালক ও হেলপাররা রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে এলোপাথারি ট্রাক রেখে অবরোধ সুষ্টি করে। তারা রংপুরের কোন ট্রাক থেকে টোল আদায় না করে বাইরের ট্রাক থেকে টোল আদায় করার  এবং শ্রমিকদের উপর হামলাকারি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়।
পরে র‌্যাব ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এব্যাপারে রংপুুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে জোর জুলুর এবং চালক ও হেলপারদের মারপিট করে সিটি করপোরেশনের ইজারাদাররা টোল আদায় করছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করা হলেও কোন কাজ হয়নি।
টোল আদায়কারি মইনুল ও আজম জানান, বৈধভাবে সিটি করপোরেশনের টোল আদায় করা হচ্ছিল। কিন্তু ট্রাক চালক ও হেলপাররা টোল না দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
কোতয়ালি খানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, যানবাহন চলাচল করছে। তবে এখনও কোন মামলা হয়নি, কাউকে আটক করা হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top