সকল মেনু

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন দক্ষ পুলিশ

ঢাকা,৯ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ বিশাল। একে কয়েকটি বিভাগে ভাগ করা উচিত। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রয়োজন দক্ষ ও পরিশিলিত পুলিশ বাহিনী।   শনিবার রাতে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স টেলিকম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের ৩৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

এসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নূরুল ইসলাম।  এইচ টি ইমাম আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট যে কাগজ পাঠিয়েছিলো তার সব কিছুতেই ছিলো ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। ২০১৩ সালের মে মাস থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত  যে তান্ডব চালানো হয়েছে তা প্রতিরোধ করতে গিয়ে ১৭ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ২ হাজার ৮০০ পুলিশ সদস্য।

তাদের পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। দেশের উন্নয়নের জন্য নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনী আধুনিকায়ন জরুরি। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, সমাজ ও অপরাধের পরিবর্তনের সাথে সাথে পুলিশের কাজেরও পরিবর্তন হয়ে যায়। তাদের পরামর্শ সামাজিক দায়িত্ববোধ। পুলিশ বাহিনী এবার দেশ ও জনগণকে নিরাপত্তা দিতে ত্যাগ স্বীকার করে দায়িত্ব পালন করেছে।

বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীর অনেক কিছু করছে, তা অব্যাহত থাকবে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের দেশব্যাপী যে সহিংস তান্ডব চালিয়েছে পুলিশ যদি ওই সময় ধৈর্য ধারণ না করে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করতো তাহলে পরিবেশ-পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো। পুলিশ সে সময় সহিংসতা ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।  তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহে এ বাহিনীতে ব্যয়কে বিনিয়োগ বলে মন্তব্য করেছেন, কারণ এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে। পুলিশে বিনিয়োগ হলে দেশ ও জনগণ সুফলভোগী হবে। পুলিশ বাহিনীর যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, দেশ ও জনগণের নিরাপত্তায় বিগত এক বছরে ১৭ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে, ৪শ জন গুরুতর আহত এবং ২ হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছে। নানান সীমাবদ্ধতা এবং বিভিন্ন ঘাটতি সত্ত্বেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশ বাহিনীতে যেসব অসুবিধা রয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন দাবি অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা পুলিশ ডিভিশন, আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি, ক্যাডার পদ ২ থেকে ৫ শতাংশে উন্নীত করা, এই বাহিনীর আরো ৮টি কর্মকর্তার পদকে বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত করা, হাইওয়ে পুলিশের জনবল, অফিস ও যানবাহন বৃদ্ধি করাসহ আরো বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top