সকল মেনু

বিপদের বন্ধু অনন্ত!

বিনোদন প্রতিবেদক, ৬ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পারবাউলীকানদা গ্রামের মরজিনা বেগমের ছেলে রিপন বিশ্বাস। পাঁচ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার ছোট একটা বোন আছে। তাদের মুখে দুমুঠো ভাত জোগাতে অন্যের বাড়িতে, মাটি কাটা থেকে শুরু করে ইট ভাটায় শ্রমিকের ও কাজ করা শুরু করেন। শত অভাব-অনটনের মধ্যে দুই ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছেন তার মা। রিপন এসএসসি ও এইচএসসি তে এ প্লাস পান। এরপর দরিদ্র মেধাবী কোটায় ভর্তি হন গ্রীনলাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । এখন তার বেতন ও টিউশন ফি ফ্রি করা থাকলেও থাকা খাওয়ার খরচ চালানো তার মা মরজিনা বেগমের বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে তার পড়াশুনা বন্ধ হবার উপক্রম হয়।

রিপন অনন্ত জলিলের একজন ভক্ত। আর তাই তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো যে সিনেমার এই হিরো বাস্তবেও তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। রিপনের বিশ্বাস ভাঙেননি অনন্ত জলিল।

মা-ছেলে মিলে গত তিন চার দিন আগে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের সাভারের ফ্যাক্টরির সামনে যান। কিন্তু সারাদিনের অপেক্ষার পরেও গেটের নিরপত্তাকর্মীরা তাদের ভিতরে ঢুকতে দেয় নি। পরে সন্ধ্যার পরে অনন্ত জলিল ফ্যাক্টরি থেকে বের হলে তাদেরকে চোখে পরে তার। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কেন এসেছেন তারা। তখন তারা সব বিস্তারিত খুলে বললে তিনি বলেন, আমি তো ওমরা হজ্জ্বে যাচ্ছি। আমার ডিএমডি’কে বলে যাচ্ছি। উনিই সব ব্যবস্থা করবেন।

পরবর্তীতে ৫ই মার্চ তারিখে এজেআই গ্রুপের তরফ থেকে তাদের দেখা করতে বলা হয়। অনন্ত জলিলের পক্ষ থেকে এজেআই গ্রুপ’র ডিএমডি দশ হাজার টাকা দিয়ে আর্থিক সহায়তা করেন। একই সাথে তার একটি ব্যাংক একাউন্ট চাওয়া হয়। যাতে কিনা অনন্ত ওমরা থেকে আসলে তার জন্য একটি মাসিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top