সকল মেনু

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে

ঢাকা, ৪ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য সড়ক ও নৌপথে আমদানি-রপ্তানি কীভাবে বাড়ানো যায় তা চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার দফতরে অনুষ্ঠিত আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় শিল্প মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,  রেলমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু, উপদেষ্টা গওহর রিজভী, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার আহমেদ তারেক করিমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভাশেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকের জানান, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আন্ত:মন্ত্রনালয় বৈঠকে সীমান্তের স্থল বন্দর সমূহে ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় দেশই কাস্টমস অফিস স্থাপন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া বাংলাবান্দা, ফুলবাড়ি, বুড়িমারী, নাকুগাঁ স্থল বন্দর সমূহের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা, আখাউড়া-আগরতলা রেল লিংক তৈরি এবং আসামের রাজধানী গুয়াহাটির সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু ভারত নয়, প্রতিবেশি ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে রফতানি বাজার সম্প্রসারণ করা হবে।

বিমসটেকের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে আরো বাণিজ্য সস্প্রসারনের ইঙ্গিত দেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এছাড়া বাংলাদেশে ট্রানজিট রুট না পেয়ে ভারত তার উত্তর -পূর্বের সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহণের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে যে কালানদী ট্রানজিট রুট তৈরি করছে সেই বিষয়টিও তুলে ধরেছেন বাণিজ্য মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, করিডোর কিংবা ট্রানজিট যাই বলা হোক না কেন সে বিষয়ে বাংলাদেশকে একটি স্থির সিদ্ধান্তে আসতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু তামাক ও এ্যালকোহল বাদে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব পণ্যের আমদানি-রফতানি রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ট্রানজিট বা যোগাযোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক অঞ্চল তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো। ভারত, বাংলাদেশ, চীন এবং মিয়ানমার সড়ক যোগাযোগের জন্য যে আঞ্চলিক জোট তৈরি করেছে তার মাধ্যমেই বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। এছাড়া প্রতিটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক জোটও হতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন , পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রফতানি বাড়ানো এবং নতুন বাজার সৃষ্টি করা হবে। এজন্য মূল ভিত্তি  হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সরকার সেই বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আন্তরিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা আজ সকালে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের বাসায় ব্রেকফাস্ট মিটিংয়ে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে তারা এও বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের যেসব বাধা রয়েছে তা খুঁজে বের করে সমাধান করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top