সকল মেনু

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মর্যাদার লড়াই

 ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ৩য় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর  উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে প্রচার প্রচারনা। পোষ্টার, ফেস্টুন, লিপলেটে ছেয়েগেছে এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১হাজার ৪৮০জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৯ হাজার ৫৯০জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ এক হাজার ৮৯০জন। হাট-বাজার, চায়ের দোকান, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র ভোট নিয়ে গুণজন। কে হবে জেলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সে দিকে সবার দৃষ্টি। আওয়ামীলীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি এ নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসাবে দেখছেন। ইতো মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ কুড়িগ্রাম সফর করে গেছেন। বর্তমান সংসদেও বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চৌধুরীর ছোট ভাই চৌধুরী সফিকুল ইসলাম লড়ছেন জাপার হয়ে। তিনি দেশের দ্বিতীয় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শিল্পপতি পনির উদ্দিন আহমেদের পক্ষে মাঠ চষে বেরাচ্ছেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আলী। বিএনপিও দখলে রাখতে চায় জেলা সদর উপজেলা পরিষদ। সে কারনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সাইফুর রহমান রানা দলীয় প্রার্থী সাইদুর রহমানকে জেতাতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে। কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভীও কুড়িগ্রাম সফর করেছেন। সব মিলিয়ে গুরুত্ব বেড়েছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচ। ত্রি-মুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা থাকলেও আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থীর দিকে সমর্থনের পাল্লা ভাড়ি হচ্ছে। কারন এ উপজেলায় জামায়াত তাদের নিজ প্রার্থীর পক্ষে কোমর বেধেঁ মাঠে নেমেছে। আর জাপার বড় দুর্বলতা সাংগঠনিক দুর্বল ভিত। তারপরও রয়েছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী।
কুড়িগ্রাম সদরে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন। এরা হলেন- আওয়ামীলীগ সমর্থিত ও বর্তমান চেয়ারম্যান পনির উদ্দিন আহমেদ(কাপ পিরিচ), বিএনপি সমর্থিত সাইদুর রহমান (ব্যাটারী), জাতীয় পার্টি সমর্থিত চৌধুরী সফিকুল ইসলাম (আনারস), জামায়াত সমর্থিত অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী (দোয়াত কলম), ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মোখছেদুর রহমান (মোটর সাইকেল), আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত নেতা আবদার হোসেন বুলু (হেলিকপ্টার), বিএনপির বহিস্কৃত প্রার্থী আব্দুর রহিম শামীম (টেলিফোন) ও জাপার বিদ্রোহী প্রার্থী নুরন্নবী সরকার (ঘোড়া)।
৫জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন-আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন (চশমা), বিএনপি’র ইয়াকুব আলী (টিয়াপাখি) ও এস এম আবু হানিফ বিপ্লব (তালা), জামায়াতের হাবিবুর রহমান সরকার (উড়োজাহাজ) ও ইসলামী আনন্দোলনের আনিছুর রহমান (টিউবওয়েল)।
৫জন মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগের মাসুদা বেগম (কলস) ও ফারহানা ইয়াছমিন মিমি (হাঁস), স্বতন্ত্র মনোয়ারা বেগম (ফুটবল) ও আফরোজা বেগম (পদ্মফুল)।
মহিলা ভোটার সংখ্যা বেশী এবং ভোটে  মহিলাদের উপস্থিতি বেশী থাকে এ ভাবনা মাথায় রেখে প্রচারনায় ভিন্নতা এসেছে। সকল প্রার্থীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা কর্মী মাঠ চষে বেরাচ্ছে। তারা প্রত্যন্ত চরে দিনরাত থেকে কাজ করছেন। চলছে পাড়ায় পাড়ায় খুলি বৈঠক। ধর্মীয় অনুভুতি কাজে লাগিয়ে নেয়া হচ্ছে পাকা কথা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top