সকল মেনু

ভারত থেকে ৩৫০০ টন পাট বীজ আমদানি

ঢাকা, ৪ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : চাহিদা মেটাতে এ বছর ভারত থেকে সাড়ে তিন হাজার টন পাট বীজ আমদানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জাতীয় বীজ বোর্ড বীজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সরকার এ ক্ষেত্রে শুধু তদারককারীর ভূমিকা পালন করবে। প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ী সাড়ে ৩ হাজার টন পাট বীজ (তোষা-জেআরও ৫২৪ জাত) আমদানি করবে।

কৃষি বিভাগ জানায়, দেশে প্রতিবছর সাত লাখ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়ে থাকে। এজন্য ৫০০০ টন পাট বীজের চাহিদা রয়েছে। এছাড়া সারা বছর শাক হিসেবে আবাদের জন্য ৫০০ টন পাট বীজের দরকার হয়। এর মধ্যে ১০ শতাংশ জমিতে দেশি পাটের এবং ৯০ শতাংশ জমিতে তোষা পটের আবাদ হয়।

অন্যদিকে, ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে মেস্তার আবাদ হয়। সে হিসেবে তোষাপাটের প্রায় ৪০০০-৪২০০ টন, দেশি পাটের  ৮০০-৯০০ টন এবং মেস্তার ২৫০-৩০০ টন বীজের প্রয়োজন হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব  ও মহাপরিচালক (বীজ উইং) আনোয়ার ফারুক রাইজিংবিডিকে জানান, দেশে পাট বীজের চাহিদা রয়েছে পাঁচ হাজার টন। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে জোগান হয় মাত্র দেড় হাজার টনের। এ বছর ভারত থেকে আমদানি করা হবে সাড়ে তিন হাজার টন। বিএডিসি এক হাজার ৪২০ টন পাট বীজ কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করবে। এছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ১০০০ হাজার টন পাট বীজ কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করবে।

আনোয়ার ফারুক আরো জানান, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সাড়ে সাত লাখ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ লাখ বেল পাট। গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত লাখ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছিল ৮০ লাখ বেল।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) মহাপরিচালক ড. কামাল উদ্দিন জানান, পাট ও পাটজাত পণ্য ব্যবহার বেড়েছে। চলতি বছর সাত লাখ হেক্টর থেকে সাড়ে সাত লাখ হেক্টর জমিতে পাট চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এবছর পাট বীজের চাহিদা বেশি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top