সকল মেনু

দেশীয় অর্থায়নেই পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হবে: যোগাযোগমন্ত্রী

ঢাকা, ৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : দেশীয় অর্থায়নে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারেই পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হবে তবে বিদেশী কোনো সংস্থার নিকট হতে ফান্ড পাওয়া গেলে তা ব্যবহার করা হবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মন্ত্রীদের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে যোগাযোগমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, নয় হাজার ১৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মূল সেতুর টেন্ডার আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান কারিগরি প্রস্তাব দাখিল করে। বর্তমানে মূল্যায়ন চলমান আছে। জুন (২০১৪) নাগাদ আর্থিক ও কারিগরি প্রস্তাবের মূল্যায়ন শেষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ চূড়ান্ত করে চলতি অর্থ-বছরেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে আশা করা যায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশীয় অর্থায়নে মূল পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয়ের পরিমাণ নয় হাজার ১৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। তবে মূল সেতু এবং অন্যান্য প্যাকেজসহ পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুমোদিত আর ডিপিপি অনুযায়ি মোট ব্যয়ের পরিমাণ ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে বিআরটিসি’র বাস বহরে বিভিন্ন ধরনের ৯৫৮টি নতুন বাস সংযোজন করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিবেশবান্ধব ৫৩০টি সিএনজি বাস, ২৯০টি দ্বিতল বাস, ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাস ও ৮৮টি একতলা এসি বাস রয়েছে।

রাজধানীর যানজট নিরসনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১ হাজার ৯৮৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরা তৃতীয় ফেইজ হতে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৬টি স্টেশন বিশিষ্ট মাস র্যা পিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ (মেট্রোরেল) প্রকল্প গত বছর ২৭ নভেম্বর শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লি. (ডিএমটিসিএল) গঠন করা হয়েছে।

যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, দুই হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাস ট্রাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর শুরু করা হয়েছে। প্রকল্পটি পরিচালনা ও রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বিআরটি গঠন করা হয়েছে।

পরিকল্পনাধীন প্রকল্পের বর্ণনা তুলে ধরে যোগাযোগমন্ত্রী সংসদকে জানান, ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন ও গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে বিআরটিসি’র জন্য অতিরিক্ত ১০০টি দ্বিতল ও ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাস সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে ঝিলমিল পর্যন্ত বাস ট্রাপিড ট্রানজিট লাইন-৩ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রুট সমীক্ষা ও প্রাথমিক নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের বিস্তর প্রকৌশলগত নকশা প্রণয়নের কাজ ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর মাসে শুরু হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top