সকল মেনু

৬০৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে মাওয়াঘাট সরাতে

ঢাকা, ৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : মাওয়াঘাট সরাতে এখন ব্যয় হবে ৬০৫ কোটি টাকা। এর আগে মাওয়া পয়েন্টে প্রথম ফেরিঘাট ছিল মাহমুদ পট্টি এলাকায়। বছর দুয়েক আগে নদী ভাঙনের মুখে সেটি সরিয়ে আনা হয় আধা কিলোমিটার দূরে বর্তমান কুমারভোগ এলাকায়।

বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসানের দেওয়া তথ্যানুযায়ী এর আগে ঘাট স্থানান্তর এবং সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ১০ কোটি টাকা।

আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পাস হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী বর্তমান পয়েন্ট থেকে শিমুলিয়ায় ঘাট সরাতে নির্মাণ করতে হবে ১ কিলোমিটার সড়ক। পূর্বের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মেলালে এই সড়ক নির্মাণ এবং ঘাট স্থানান্তরে সর্বোচ্চ ২০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হওয়ার কথা নয়। সেক্ষেত্রে এই খাতে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরার যৌক্তিকতা কি? যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী ৫ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে পদ্মা সেতু নির্মাণ। পদ্মা সেতু নির্মিত হয়ে গেলে এই ফেরি পয়েন্টের কোনো প্রয়োজন থাকবে না। সেক্ষেত্রে মাত্র ৫ বছরের জন্য শিমুলিয়া থেকেই পরিচালনা করা সম্ভব হবে মাওয়া ফেরিঘাট।

পুরো বিষয়টি পানির মতো পরিষ্কার হলেও গৃহীত প্রকল্পে দ্বিতীয় দফায় শিমুলিয়া থেকে ফেরিঘাট আবার ৪ কিলোমিটার দূরে কান্দিপাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় দফা স্থানান্তর এবং নদী শাসনে ব্যয় ধরা হয়েছে আরও ৫০০ কোটি টাকা।

পুরনো হিসাব ধরলে এই ব্যয় যেমন কোনোক্রমেই ১ থেকে দেড়শ কোটি টাকার বেশি হওয়ার কথা নয় তেমনি দ্বিতীয় দফায় ঘাট স্থানান্তরের কোনো যুক্তিও খুঁজে পাচ্ছে না কেউ। গৃহীত সিদ্ধান্তে অবশ্য বলা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে নতুন রুট বের করে কান্দিপাড়া থেকে ফেরি পরিচালনা করা হবে।

কিন্তু তেমন কোনো সম্ভাব্য রুট ও দেখছেন না কেউ। সে কারণে পুরো বিষয়টিকে বড় ধরনের পুকুর চুরির আয়োজন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

তাছাড়া, ৫ কিলোমিটারের এই অতিরিক্ত দূরত্ব পার হতে একদিকে যেমন মোটা অংকের জ্বালানি ব্যয়ের সম্মুখীন হবে ফেরিগুলোর তেমনি দুর্ভোগে পড়বে সাধারণ মানুষও।

এদিকে, কাওড়াকান্দি-মাওয়া ফেরি পারাপার প্রশ্নে প্রায় ১ বছর আগে মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া একটি প্রস্তাব নিয়েও চলছে আলোচনা। আলোচ্য প্রস্তাবে বর্তমানে শাখা নদীতে থাকা কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ৫ কিলোমিটার সড়ক আর ছোট ৩টি সেতু নির্মাণের মাধ্যমে ঘাটটি নদীতীরে নেওয়া হলে মাত্র ২৫ মিনিটে নদী পার হতে পারতো মানুষ।

বর্তমান অবস্থায় কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া যেতে সময় লাগে দু’আড়াই ঘণ্টা। ৫০ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বর্তমানের তুলনায় প্রায় দু’আড়াই ঘণ্টা কম সময়ে ঢাকা যেতে পারত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। ১ বছর আগে প্রস্তাবটি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হলেও বিষয়টির কোনো অগ্রগতি হয়নি। কেউ এ ব্যাপারে কিছু বলতেও রাজি হননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top