সকল মেনু

ভবিষ্যতে উপজেলা নির্বাচন হবে দলীয়ভাবে : আশরাফ

ঢাকা, ৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ভবিষ্যতে উপজেলা নির্বাচন দলীয়ভাবে হবে। এজন্য সংসদে বিল উত্থাপন করবেন তিনি।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর গোলারটেক খেলার মাঠে শাহ আলী, মিরপুর ও দারুস সালাম থানা এবং ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উপজেলা নির্বাচনে বিশ্বাস করেন না। এজন্য বিএনপি ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাচন বাতিল করেছিল।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার-ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি, উপজেলা নির্বাচনেও বিশ্বাস করি। এজন্য উপজেলাকে যুগোপযোগী করে স্থানীয় সরকারকে আরো শক্তিশালী করতে চাই। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার-ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যাতে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করতে পারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী এসব আইন খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, এক দেশে দুই ধরনের ব্যবস্থা থাকতে পারে না।  সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাতীয় সংসদ, স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ে একই ধরনের সংসদীয় পদ্ধতিতে করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইনগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতে জাতীয় সরকার, বিধানসভা, পঞ্চায়েত সরকার- সবই কিন্তু সংসদীয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।

তিনি বলেন, ‘জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার-ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। সেজন্য যত ধাপ আছে, সব ধাপকেই আমরা আরো গতিশীল করতে চাই।’

আশরাফ বলেন, পত্রপত্রিকায় উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে বলা হচ্ছে বিএনপি এত, আওয়ামী লীগ এত, জাতীয় পার্টি এত, জামায়াত এত ইত্যাদি। কিন্তু তারা কীভাবে জানলেন, উনি আওয়ামী লীগের, না বিএনপির। ব্যালট পেপারে কী কোনো দলীয় মার্কা আছে?

নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত হলফনামার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই হলফনামা রাজনীতিবিদদের ‘চরিত্র হনননামা’। ‘আমি নির্বাচন করব বিধায় এক আইন। অন্যজনের জন্য আরেক আইন। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। আমরা সেই আইনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি।’ উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি বিধায় আমার ঘরবাড়ি-সংসার থাকতে পারবে না? আমি কি গাছতলায় বাস করব?’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়ে গেল। অথচ সেই নির্বাচন ঠেকাতে শত শত মানুষ হত্যা করলেন বেগম খালেদা জিয়া। এমন কোনো কাজ নেই, যা খালেদা জিয়া করেননি। কিন্তু তিনি ঠেকাতে পারেননি। আজকে গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, সংবিধান রক্ষা পেয়েছে। আমরা সংবিধানের বাইরে যাইনি।’

মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আগা খান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম হানিফ। অন্যান্যর মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিলন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মকবুল হোসেন, আসলামুল হক এমপি প্রমুখ। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top