সত্যিটা সামনে আসতেই ভেঙে পড়েছিলেন সেই তরুণী ও তাঁর পরিবার। অবশেষে চ্যালেঞ্জ নিলেন ন্যাশনালের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান ডা. আরতি বিশ্বাস। কাউন্সেলিং করলেন মেয়েটিকে। বোঝালেন, গর্ভে সন্তান ধারণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তবে, স্বাভাবিক যৌনজীবন যাপন করা সম্ভব। তার জন্য কৃত্রিম যৌনাঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে হবে। রাজি হয়ে যান তরুণী ও তাঁর পরিবার। আরতী দেবী জানান, ইউএসজি করে প্রথমে জানতে পারি যৌনাঙ্গ অনুপস্থিতির কথা। নিশ্চিত হওয়ার জন্য গত ১৪ ফেব্রূয়ারি ল্যাপ্রোস্কোপি করানো হয়। ১৭ ফেব্রূয়ারি জটিল অপারেশনের মাধ্যমে ভ্যাজাইনাল মোল্ড বসিয়ে কৃত্রিম যৌনাঙ্গ তৈরি করা হয় সেই তরুণীর।
তরুণী এখন পুরোপুরি সুস্থ। বারো দিন পর্যবেক্ষণে রেখে ছেড়েও দেওয়া হল তাঁকে। জানা গিয়েছে, তরুণীর বাড়ি হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। বয়স ১৮, অসাধারণ সুন্দরী। উচ্চতা পাঁচ ফুট পাঁচ। আরতি দেবী জানালেন, মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়ে রয়েছে। খুব কান্নাকাটি করছিল। তাই চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপারেশনটা করলাম।
আরতি দেবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মেয়েটি এমআরকেএইচ সিনড্রোমে ভুগছিলেন। তার যৌনাঙ্গ ছিল না। যৌনাঙ্গ না থাকায় মেয়েটির মাসিক হয় না। যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে প্রাইমারি অ্যামিনোরিয়া। তবে, গর্ভাশয় থাকায় মেয়েটি চাইলে মা হতে পারবেন।
তার জন্য অন্যের গর্ভ ভাড়া করতে হবে (স্যারোগেট মাদার)। সুস্থ যৌনজীবনও ভোগ করার ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বিয়ের পর সমস্যা হবে না তো? আরতি দেবী জানালেন, অবশ্যই পাত্রপক্ষকে বিয়ের আগে সবটা জানানো উচিৎ। তবে আর ভুল বোঝাবুঝি হবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।