সকল মেনু

মাইম আইকন মশহুরুল হুদা দেশে আসছেন কাল

বিনোদন প্রতিবেদক, ৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : আগামীকাল ৪ মার্চ দেশে আসছেন ইন্টারন্যাশনাল মাইম আর্টিস্ট, নিও মাইমের ডেভলপার কাজী মশহুরুল হুদা। দেশে এসে তিনি মাইম ওয়ার্কশপসহ একটি মূকাভিনয় প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন।

পাঁচ দিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল মাইম ওয়ার্কশপ ২০১৪-এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হুদা মাইম ক্লাব।

বাংলাদেশ হুদা মাইম ক্লাবের পাবলিক রিলেশন অফিসার সোহাগ আশরাফ জানান, এ ওয়ার্কশপটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হুদা মাইম ক্লাব। পাঁচ দিন ব্যাপী এ ওয়ার্কশপ হবে ১৩, ১৪, ১৬, ১৭ ও ১৮ মার্চ।

তিনি আরো জানান, ইন্টারভিউর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচিত করা হবে। যারা এ ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক তাদেরকে এসএমএস করতে বলা হয়েছে। এসএমএস করার নিয়ম- অংশগ্রহণকারীর নাম # (স্পেস) মোবাইল নম্বর # (স্পেস) বিভাগ। এরপর পাঠিয়ে দিন ০১৬৭৪-০৭৬৪৭৯ এই নম্বরে।

ওয়ার্কশপ এর পাশাপাশি মার্চেই বাংলাদেশ হুদা মাইম ক্লাব আয়োজন করতে যাচ্ছে মূকাভিনয় প্রতিযোগিতা ২০১৪।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের মূকাভিনয় জগতের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম একজন কাজী মশহুরুল হুদা। তিনি একজন আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং মাইম এম্বাসেডর অব বাংলাদেশ নামে সুপরিচিতি।

প্রায় দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে মি: হুদা মূকাভিনয় চর্চার মাধ্যমে শুধু পারফরমার হিসাবে নয়, গবেষক হিসাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে মূকাভিনয়ে উদ্ভাবন ও ডেভলপমেন্ট করেছেন। মাইম আইকন শুধু মূকাভিনয় জগতেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইয়োগা টেকনিক ডেভলপার, হলিউডে হুদাইয়োগা নামে নিজস্ব ইয়োগা স্টাইল প্রতিষ্ঠা করেছেন।

১৯৫৬ সালে ১৩ ডিসেম্বর যশোরের ঝিকরগাছায় জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। পিতা মরহুম ডা : নুরুল হুদা ও মাতা মাজেদা খাতুন। ঝিকরগাছার কপতাক্ষ নদের টায়রায় বেড়ে ওঠে তার শৈশব জীবন। ঝিকারগাছা হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ঝিকারগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান থেকে বিএসসি (অনার্স) এবং এমএসসি করেন। ছোটবেলা থেকেই কাজী মশহুরুল হুদা, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। শুধু তাই নয়, আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের প্রচেষ্টায় তার উদ্ভাবিত সয়েল পেইন্ট প্রথম বাংলাদেশ সাইন্স ফেয়ারে সাইন্স মিউজিয়াম কর্তৃক প্রথম পুরস্কার পেয়েছিল।

বাংলাদেশের থিয়েটার কর্মী হুদা ১৯৭৫ সনে আমেরিকান মূকাভিনেতা এডাম দারিউসের মূকাভিনয় তাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয় ও অনুপ্রাণিত করে এবং সম্পুর্ণ নিজস্ব প্রচেষ্টায় মূকাভিনয় জগতে প্রবেশ করেন এবং বাংলাদেশে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে দেশে মুকাভিনয়কে সুপরিচিত করে তোলেন। টিভি ও মঞ্চের পারফর্মেন্সের মাধ্যমে তিনি নিজেকে দর্শকদের কাছে নিয়ে যান খুবই অল্প সময়ে।

বাংলাদেশের প্রথম ড্রামা স্কুল (নাট্যচক্র ড্রামা স্কুল) থেকে প্রথম ড্রামা সাটিফিকেট প্রাপ্ত ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে প্রথম ড্রামা ওয়ার্কশপ করেন। অতি অল্পসময়ে জনাব হুদা বাংলাদেশের মুকাভিনয় জগতে প্রচার ও প্রসার লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের সহায়তায় স্কলারশিপ নিয়ে মূকাভিনয়ের উপর উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য আমেরিকায় যান।

১৯৮৬ সালে ভ্যানকুভারের ওয়াল্ড এক্সপোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাইম এন্ড মুভমেন্ট ফেস্টিভলে মূকাভিনয় প্রদর্শন করেন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করার মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ব্যক্তিতে পরিণত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top