সকল মেনু

যুদ্ধের প্রস্তুতি ইউক্রেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ২ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ইউক্রেনে রুশ সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি তৈরি হওয়ায়, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো রোববার জরুরি বৈঠকে বসছে।

ইউক্রেনের অস্থায়ী সরকারের কাছ থেকে সাহায্যের অনুরোধ পাওয়ার পর ইউরোপ ও আমেরিকার এই সামরিক সহযোগিতা জোট জরুরি এই বৈঠক ডেকেছে।

ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান জানিয়েছেন, সম্ভাব্য রুশ সামরিক অভিযানের মোকাবেলায় তারা বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছেন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ এখন কার্যত রুশ সৈন্যদের হাতে। ক্রিমিয়াতে রাশিয়ার একটি নৌ ঘাটি রয়েছে এবং এই অঞ্চলের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ জাতিতে রুশ।

প্রেসিডেন্ট ওবামা মি পুতিনকে বলেছেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং এতে করে আন্তর্জাতিক মহলে মস্কো এক ঘরে হয়ে যেতে পারে।

জবাবে, মি পুতিন বলেছেন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ও ক্রাইমিয়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে নিজ স্বার্থ সংরক্ষণের অধিকার রাশিয়ার রয়েছে।

তবে ইউক্রেনের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াতসেনিউক বলেছেন তার সরকার মনে করে মস্কো সামরিক হামলা চালাবে না।

তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ তাকে জানিয়েছেন সেনা পাঠানোর বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

কানাডা মস্কো থেকে তাদের রাষ্ট্রদুতকে ডেকে পাঠিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিভেন হারপার জানিয়েছেন সোচিতে আসন্ন জি-এইট জোটের শীর্ষ বৈঠকে যোগদানের প্রস্তুতি স্থগিত করেছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন দ্রুত উত্তেজনা কমিয়ে মুখোমুখি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর জন্য প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের এক অনুরোধ অনুমোদন করেছে রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে, এর অর্থ এই নয় যে ইউক্রেনে রুশ সৈন্য মোতায়েন আসন্ন।

ক্রাইমিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ঐ অঞ্চলের নতুন প্রধানমন্ত্রী সের্গেই আকসিওনভের সাহায্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই অনুমোদন চান রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।

তবে তার আগেই ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, ক্রিমিয়ায় ৬ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষের অনুমোদনের পর ইউরোপসহ আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রেসিডেন্ট ওবামা টেলিফোনে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভøাদিমির পুতিন-এর ভাষায়, ইউক্রেনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবার জন্যই সেনা হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছেন তিনি।

রুশ সংসদের উচ্চকক্ষে ইউক্রেনে সেনা হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত হবার আগেই নিরাপত্তা প্রধানের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকের পর সেদেশের সেনাবাহিনীকে সতর্কাবস্থায় রেখেছেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট তুর্চিনফ।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধ-সতর্কতা জারী করে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখার কথা বলেছেন তিনি।

এছাড়া পারমাণবিক স্থাপনা, বিমানবন্দর সহ দেশটিতে কৌশলগত ও অবকাঠামোগত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top